প্রিন্সেস হায়া ইসু্যতে কূটনৈতিক টানাপড়েনের আশঙ্কা

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইনের যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেয়া নিয়ে কূটনৈতিক সংকট শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীবনশঙ্কার কারণে লন্ডনে পালিয়ে আছেন বলে দাবি করেছেন হায়া। এর ফলে দুবাইয়ের শাসকদের বিরুদ্ধে পরিবারের নারীদের প্রতি আচরণ সমালোচনার মুখে পড়েছে। সংবাদসূত্র : গার্ডিয়ান, ট্রিবিউন, বিবিসি এদিকে, বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পালানো দুবাই শাসকের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়ার বিরুদ্ধে লন্ডনের পারিবারিক আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কোর্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সম্প্রতি প্রিন্সেস হায়া প্রায় ৩৩২ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। জর্ডানের বাদশাহ আবদুলস্নাহর বৈমাত্রেয় বোন প্রিন্সেস হায়া পালানোর পর দুবাই শাসকের কাছে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিসও পাঠান। ফলে হায়াকে নিয়ে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হতে পারে। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুলস্নাহর বোন হায়া বিনতে আল-হুসেন যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমকে বিয়ে করে তার ষষ্ঠ এবং কনিষ্ঠতম স্ত্রী হন। চলতি বছরের শুরুতে জার্মানি পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন তিনি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে কবিতা পোস্ট করে কারও নাম প্রকাশ না করেই এক নারীকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন দুবাইয়ের শাসক। এরপরই লন্ডনের মধ্যাঞ্চলে কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের একটি বাড়িতে হায়ার বসবাস করার খবর আসে। গত বছর এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে সমুদ্রপথে পালিয়ে যান দুবাইর শাসকের মেয়ে শেখ লতিফা। ভারত উপকূলে সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের বহনকারী নৌযানটি আটক করে তাকে দুবাই ফিরিয়ে নিয়ে যায়। দুবাই কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, তারপর থেকে নিজ দেশে নিরাপদেই আছেন শেখ লতিফা। তবে মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শেখ লতিফাকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই সময়ে দুবাই কর্তৃপক্ষের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন হায়া। বিবিসির এক তথ্যচিত্রে ৩৩ বছরের প্রিন্সেস লতিফার জীবনের পরিণতির কথা উঠে এসেছে। লতিফার পরিণতির কথা জানতে পেরেই হায়া পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রিন্সেস হায়া হয়ত কূটনৈতিক দায়মুক্তি পেতে পারেন। যদিও এবারের লন্ডন সফরে তাকে কূটনৈতিক তালিকায় রাখা হয়নি। এর আগে তাকে যুক্তরাজ্য সরকার জর্ডানের কর্মকর্তা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রিন্সেস হায়া ফার্স্ট সেক্রেটারি (কালচারাল অ্যাফেয়ার্স) হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। জানা গেছে, জর্ডানের দূতাবাস সম্প্রতি তাকে পুনরায় 'অ্যাক্রিডিয়েশন' দিয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তায় সেন্ট্রাল লন্ডনে কেনসিংটন প্রাসাদের কাছে একটি বাড়িতে রয়েছেন প্রিন্সেস হায়া। ২০১৭ সালে এই বাড়িটি তিনি কিনেছিলেন। অপহরণের আশঙ্কায় তিনি স্থানীয় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড অবশ্য এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।