রাজ্যপালকে চিঠি স্পিকারের

কর্ণাটক জট কাটেনি :বৈধ নয় ৮ বিধায়কের পদত্যাগপত্র

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সময় যত গড়াচ্ছে, ভারতের কর্ণাটকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মঙ্গলবার সেই জটিলতাকে এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেসের পরিষদীয় বৈঠকে রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের হাজির না হওয়া এবং আরেক বিধায়কের পদত্যাগ। পরিস্থিতি সামল দিতে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে ব্যাঙ্গালুরুতে পাঠিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এদিকে, কর্ণাটকের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, পিটিআই, এনডিটিভি কর্ণাটকের যেসব বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, সেই বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত জানানোর দিন ছিল মঙ্গলবার। স্পিকার রমেশ কুমার কী বলবেন বা সিদ্ধান্ত নেবেন, এই বিষয় নিয়ে এদিন সকাল থেকেই একটা টানটান উত্তেজনা ছিল রাজ্যজুড়ে। এদিন দুপুরের দিকে তিনি জানান, কোনো বিক্ষুব্ধ বিধায়কই তার সঙ্গে দেখা করেননি। বিষয়টা তিনি এরই মধ্যে রাজ্যপালকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। যে ১৩ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে ৮ জন নিয়ম মেনে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তাদের সময় দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্পিকার। এদিন সকালে তিনি জানিয়েছিলেন, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের আলাদাভাবে এসে তার কাছে এসে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে। স্পিকার বলেন, 'কেউ যদি এ ব্যাপারে দেখা করতে চান, তা হলে আমার দপ্তরের অনুমতি নিয়েই আসতে হবে।' কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করা হয়েছে, তা হলে সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না বলেও জানান স্পিকার। এদিকে, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে এদিন ব্যাঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। কিন্তু সেই বৈঠকে ছিলেন না অনেক নেতা। এই বৈঠক চলাকালীনই পদত্যাগপত্র জমা দেন আরেক বিধায়ক, সংগঠনবিরোধী কাজের জন্য যাকে আগেই কংগ্রেস বহিষ্কার করেছিল। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'স্পিকারের কাছে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, ওই সব বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করতে হবে। শুধু তাই নয়, আগামী ছয় বছর যেন তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে।' কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সোমশেখর জানিয়েছেন, কোনোভাবেই পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেবেন না তারা। তিনি বলেন, 'আগামী পদক্ষেপ কী হবে, বিধায়করা একসঙ্গে বসে সেটা ঠিক করবো। তারপর দুই-একদিনের মধ্যে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করব।' জেডিএস নেতা নারায়ণ গৌড়াও জোট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'এই সরকার কোনো কাজ করছে না। রাজ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি এই সরকারের আমলে। আর সেই প্রতিবাদেই পদত্যাগ করেছি।' দিনভর এই নাটকের পরও আশা ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস-জেডিএস নেতৃত্ব। তারা বারবারই দাবি করছেন, সরকার সুরক্ষিত আছে। বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জোট সরকারের নেতারা। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের 'মন জোগাতে' এবং মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দিতে সোমবারই পদত্যাগ করে দুই দলের সব মন্ত্রী। বিধায়ক কেনাবেচা যাতে না হয়, বিজেপির হাত থেকে বিধায়কদের বাঁচাতে গোপন আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।