কর্ণাটক নাটক :হোটেলে ঢুকতে গিয়ে আটক কংগ্রেস নেতা

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের গলি থেকে রাজপথে এখন কর্ণাটক নাটক নিয়ে আলোচনা। রাজনৈতিক সংকট এমন পর্যায়ে যে, তা ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাই হয়ে একেবারে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গেছে। কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমারের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক কাজের অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংবাদ সূত্র : এবিপি নিউজ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এদিকে, রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তার সঙ্গে দখা করার পর ইয়েদুরাপ্পা বলেন, 'নির্দলীয় বিধায়কসহ ১৫ জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১০৩-এ। সেখানে আমাদের রয়েছে ১০৭-১০৮। রাজ্যপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, এ ব্যাপারে দ্রম্নত পদক্ষেপ নিতে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এখন কোনো নৈতিক অধিকার নেই এইচডি কুমারস্বামীর।' অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। এই রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিজেপি দায়ী, এ কথা তাকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেয়নি।' মঙ্গলবার সকালে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। জোট সরকারের হয়ে বুধবার সকালে মুম্বাইয়ে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের যে হোটেলে বিধায়করা রয়েছেন, সেখানে যেতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি। এরপর তাকে আটক করা হয়। নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে মুম্বাই পুলিশকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন বিধায়করা। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই হোটেলের সামনে কড়া পাহারা ছিল। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা যারা করছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। কিন্তু হোটেলে পৌঁছতেই যে এমন বাধার মুখে পড়তে হবে, সেটা আঁচ করতে পারেননি তিনি। শিবকুমার যখন হোটেলে ঢুকতে যান, এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বলেন, 'আমরা আপনাকে ভেতরে যেতে দিতে পারব না। কারণ আমাদের কাছে সেই অনুমতি নেই।' এদিকে, শিবকুমারকে দেখামাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়করা। হোটেলের বন্ধ গেটের ওপার থেকে শিবকুমারকে লক্ষ্য করে তারা 'গো ব্যাক' স্স্নোগান দিতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় শিবকুমারকে বলতে শোনা যায়, এই হোটেলেই তার একটি ঘর বুক করা আছে। তারপরও কেন তাকে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলেও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা।কিন্তু পুলিশও নাছোড়। শিবকুমারকে বিধায়কদের দেয়া চিঠির কথা জানিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন।