কর্ণাটক নাটক :শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

ম মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেল কংগ্রেস-জেডিএস

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের কর্ণাটকের বিধানসভা স্পিকারের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের টানাপড়েন নিয়ে তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নিল না দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বরং বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ততদিন পর্যন্ত রাজ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেল কর্ণাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকু্যলার (জেডিএস) জোট সরকার। ততদিনে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে কোনোরকম মীমাংসায় আসা সম্ভব হয় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, পিটিআই শুক্রবারের মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছিলেন কর্ণাটকের বিধানসভা স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। ওই বিধায়করা আদৌ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, নাকি তাদের বাধ্য করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে বলে যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি। তার সেই আবেদনের শুনানিতেই বিধায়কদের পদত্যাগ সংক্রান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রমেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান ১৮ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের মধ্যে ১০ জন। ব্যাঙ্গালুরুতে তার কাছে নতুন করে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা। তারপর আবার ফিরে যান মুম্বাইয়ের হোটেলে; গত এক সপ্তাহ ধরে যেখানে আস্তানা গেড়েছেন তারা। রমেশ কুমারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশনও দায়ের করেন ওই বিদ্রোহী বিধায়করা। তাতে দাবি করেন, পদত্যাগপত্র দিতে গেলে তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন রমেশ কুমার। রীতিমতো হুমকি দেন। এমনকি তাদের পদত্যাগপত্রের ওপরই বসে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেই শুক্রবার থেকে কর্ণাটক বিধানসভায় ১১ দিনব্যাপী বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেন, 'কয়েকজন বিধায়কের সিদ্ধান্তের জন্য এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে সংকট দেখা দিয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আস্থাভোটের আবেদন জানাচ্ছি আমি। স্পিকারের অনুমতি পেলে যেকোনো মুহূর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারি।' কোনোরকম বাধাবিঘ্ন ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে বিধানসভার অধিবেশন ফলপ্রসূ হবে বলেও আশাবাদী তিনি। তার দাবি, 'বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচু্যত করার সব রকম প্রচেষ্টাই চলছে। কিন্তু কংগ্রেস-জেডিএস জোট যথেষ্ট মজবুত। আজকের অধিবেশন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আমরা।' রাজ্যের এই অচলাবস্থার জন্য শুরু থেকেই বিজেপিকে দায়ী করে এসেছে কংগ্রেস এবং জেডিএস। তাদের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগ তুলেছে জোট। পরপর ১৮ জন পদত্যাগ করায় তাই এখন বুঝেশুনে পা ফেলছে দুই দলই। ব্যাঙ্গালুরুর বাইরে একটি রিসোর্টে দলের বিধায়কদের এরই মধ্যে সরিয়ে নিয়ে গেছে জেডিএস, যাতে কোনোভাবেই বিজেপি তাদের নাগাল না পায়। দফায় দফায় বিধায়কদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেসও। এই মুহূর্তে কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএসের দখলে ১১৮টি আসন রয়েছে। কিন্তু ১৮ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে তা কমে ১০০-এ দাঁড়াবে। তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে এতদিন যেখানে ১১৩টি আসন পেতে হতো, সেই সংখ্যাও কমে গিয়ে ১০৫-এ ঠেকবে। তাতে ক্ষমতা দখলে আর কোনো বাধাই থাকবে না বিজেপির। এমনিতেই বিধানসভায় তাদের ১০৫টি আসন রয়েছে। দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনে তা ১০৭-এ গিয়ে দাঁড়াবে।