তাইওয়ানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রকে আগুন নিয়ে না খেলার হুমকি চীনের

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
তাইওয়ানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে মার্কিন সরকারকে সরাসরি হুমকি দিয়েছে চীন। দেশটির কূটনীতিক ওয়াং ই শুক্রবার পেন্টাগনকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আগুন নিয়ে খেলো না'। চীনের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, অবিলম্বে বাতিল না করলে ওই চুক্তিতে নাম থাকা মার্কিন সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হবে। শি জিনপিং সরকারের দাবি, এই চুক্তি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, এবিপি সম্প্রতি তাইওয়ানের সঙ্গে ২২০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করে মার্কিন সরকার। গত সোমবার এতে অনুমোদন দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। পরে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চুক্তি অনুযায়ী ১০৮টি জেনারেল ডায়নামিকস কর্প এম১এ২টি আব্রামস ট্যাংক, রেথিওন সংস্থার তৈরি ২৫০টি স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তাইওয়ানের হাতে তুলে দেয়া হবে। এই চুক্তির ফলে ওই অঞ্চলের সামরিক শক্তির ভারসাম্য কোনোভাবেই বিঘ্নিত হবে না বলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হলেও, সেটা মানতে রাজি নয় বেইজিং। বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে গত এক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যেই শুক্রবার মার্কিন সরকারকে এই চুক্তি বাতিল করার দাবি জানায় চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং জানান, তাইওয়ানের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি করে আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রাথমিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭২ সালে তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মেনে নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি সেই অবস্থানের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন জেং শুয়াং। তিনি বলেন, 'জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাইওয়ানের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তিতে জড়িত মার্কিন সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বসাতে বাধ্য হবো আমরা।' বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রতিক্রিয়া মেলেনি তাইওয়ানের দিক থেকেও। তবে মার্কিন সংস্থাগুলোর ওপর চীনা নিষেধাজ্ঞা বসলে, এতে দুই দেশের সম্পর্কে কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ১৯৮৯ সালে তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে অভিযানের পর থেকেই বেইজিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর ব্যবসা বন্ধ।