ভারতের 'চন্দ্রযান-২' উৎক্ষেপণ ৫৬ মিনিট আগে স্থগিত

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের মহাকাশযান 'চন্দ্রযান-২'
যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে মহাকাশে পাড়ি জমাতে পারল না ভারতের 'চন্দ্রযান-২'। উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট আগে চন্দ্র অভিযান স্থগিত করা হয়। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'ইসরো'র জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের মাত্র ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক ত্রম্নটি চোখে পড়ে। সে কারণেই 'চন্দ্রযান-২'-এর যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। যাত্রা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ২০ ঘণ্টা আগে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫১ মিনিট থেকে এই অভিযানের কাউন্টডাউন (ক্ষণ গণনা) শুরু হয়েছিল। উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ পরে জানিয়ে দেয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ২টা ৫১ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন রকেট থেকে জ্বালানি 'লিক' করেছে। তিন দশমিক আট টন ভারী মহাকাশযানটিকে বহন করে কক্ষপথে নিয়ে যেতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিএসএলভি এমকে থ্রি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। শুধু রকেটের নিজের ওজনই ৬৪০ টন। তার ওপরে চন্দ্রযানের ওজন আরও ৩৮০০ কেজি। ১৫ তলা সমান উচ্চতার এ রকেটের নাম দেয়া হয়েছে 'বাহুবলী'। ইসরো জানায়, তাদের দ্বিতীয় এই চন্দ্রযানের জন্য খরচ হয়েছে অন্য যানের চেয়ে কম। 'অ্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড গেম' মুভির থেকেও কম হয়েছে এর খরচ। কারণ ছবিটি তৈরি হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি ডলারে। সেখানে দ্বিতীয় চন্দ্রযানের বাজেট মাত্র ১৪ কোটি ডলার। চাঁদের বুকে পা রাখতে চন্দ্রযান-২কে তিন দশমিক ৮৪ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। ২০০৮ সালে ভারত প্রথম চাঁদের উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। তখন চাঁদের কক্ষপথে গিয়েছিল চন্দ্রযান-১। সেবার পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহে থাকা হাইড্রক্সিল আয়নের খোঁজ পেয়েছিল এটি। কিন্তু এবারের অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, চন্দ্রপৃষ্ঠের বালিকণায় থাকা খনিজ ও মৌল পদার্থ সম্পর্কে জানা। চাঁদের যে অংশে চন্দ্রযান-২ এর নামার কথা, এর আগে সেখানে কোনো দেশের মহাকাশযান নামেনি। এই অভিযান সফল হলে ভারত হবে চন্দ্রজয়ী চতুর্থ দেশ। এর আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এ তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে।