শরণার্থীদের রাজধানী হতে পারে না ভারত

আদালতকে সাফ জানাল কেন্দ্রীয় ও আসাম সরকার

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারত বিশ্বের শরণার্থীদের রাজধানী হতে পারে না। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এ কথাই সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩১ জুলাই আসামের নাগরিকপঞ্জি চূড়ান্ত করার সময়সীমা শেষ হবে। সেই সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে এদিন যৌথভাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় ও আসাম সরকার। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধের খসড়ায় অসংখ্য মানুষের নাম ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই তালিকা থেকে নির্ভুলভাবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির জন্য আরও কিছু অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে আসামের নাগরিকপঞ্জির প্রথম খসড়াটি ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১.৯ কোটি মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তালিকায় নাম না ওঠায় অসংখ্য আসামবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এর প্রভাবে ভারতজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তারপরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ নিয়ে অনেক বেশি যত্নবান হয় দুই সরকারই। গত মে মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, ৩১ জুলাই চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের শেষ তারিখ। যা আর পেছানো হবে না। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, নাগরিকপঞ্জির খসড়া ফের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে কি না। আগামী মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষের নাম ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০ শতাংশ নথিভুক্ত মানুষের নাম পুনরায় খতিয়ে দেখা জরুরি। এছাড়াও বাকি রাজ্যে আরও ১০ শতাংশ নাম ফের খতিয়ে দেখা দরকার। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৮০ লাখের কাছাকাছি। সেই সঙ্গে বর্তমানে আসামে বন্যা পরিস্থিতির জন্য এই কাজে দেরি হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখে নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে সরকারের আরও কিছু সময় প্রয়োজন। এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ অবৈধ নাম নথিভুক্তকারীদের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে আসামের নাগরিকপঞ্জির কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে স্বাধীনতা দিয়েছে।