উত্তরপ্রদেশে ১০ খুন

শেষ পর্যন্ত নিহতদের স্বজনের সঙ্গে দেখা হলো প্রিয়াঙ্কার

দিলিস্ন রওনা দেয়ার আগে কংগ্রেস নেত্রী বলে আসেন 'আমি আবার আসব'

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রায় যেতে বাধা দেয়া হলেও তিনি কোনোভাবেই কাজ শেষ না করে দিলিস্নতে ফিরে যেতে রাজি ছিলেন না। ভারতের উত্তরপ্রদেশ সরকার যতই চেষ্টা করুক ফেরত পাঠানোর, সোনভদ্রার ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। মির্জাপুরের যে গেস্ট হাউসটিতে তাকে আটক রাখা হয়েছিল, সেখানে সারারাত ধরনায় বসেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সোনভদ্রায় জমি বিরোধজনিত সহিংসতায় নিহতদের স্বজনরা নিজেরাই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করেছেন। কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা অজয় রায় জানান, শনিবার সকালে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ১২ জন সদস্য দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করেন। সংবাদসূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, এবিপি নিউজ গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রা গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০ জন নিহত হন। উত্তরপ্রদেশে অপরাধ বৃদ্ধি ও আইনের শাসন নেই বলে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করেন প্রিয়াঙ্কা। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার সেখানে যাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। মাঝপথে তাকে থামিয়ে দেয়া হয়। সোনভদ্রা যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হলে মির্জাপুর নামক এলাকার রাস্তায় বসে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। তার সঙ্গে থাকা অন্য কংগ্রেস কর্মীরাও পাশেই বসে পড়েন। প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ঘিরে থাকেন। তিনি সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আটক করে সরকারি গাড়িতে তোলা হয়। শুক্রবার রাতে চুনার দুর্গের ধরনামঞ্চ থেকে প্রিয়াঙ্কাকে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে তার কাছে অনুরোধ করা হয় অবিলম্বে দিলিস্ন ফিরে যাওয়ার জন্য। তবে প্রিয়াঙ্কা তার অবস্থানে অনড় থাকেন। তিনিও জানিয়ে দেন, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করতে না দিলে তিনি ফিরবেন না। শুক্রবার সারারাত এই ঘটনা নিয়ে একাধিক টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, 'বারানসীর এডিজি, পুলিশ কমিশনার এবং মির্জাপুরের ডিআইজি আমার কাছে এক ঘণ্টা ধরে বসে ছিলেন। আমাকে বলেছেন, আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই আমাকে ফিরে যেতে হবে। আমাকে কেন আটক করা হয়েছে, তার কোনো কারণ তারা দেখাতে পারেননি। কোনো কাগজপত্রও আমি হাতে পাইনি।' তিনি আরও বলেন, 'আমার আইনজীবী জানিয়েছেন, এভাবে আমায় আটক করা সম্পূর্ণ বেআইনি।' সারারাত ওইভাবে ধরনায় থাকার পর শনিবার সোনভদ্রার সহিংসতায় নিহতদের স্বজনরাই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে মির্জাপুরে আসেন। শুরুতে তাদেরকে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করার জন্য গেস্ট হাউসে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। নিহতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন প্রিয়াঙ্কা। তাদের অশ্রম্ন মুছে দেন। পরে সাংবাদিকদের প্রিয়াঙ্কা বলেন, পুলিশ ও প্রশাসন কী চাইছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না। 'তারা (পরিবারগুলো) আমার সঙ্গে দেখা করতে এখানে এসেছে, অথচ তাদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না।' এরপর তিনি দিলিস্নর উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে বলেন, 'আমি আবার ফিরে আসব।'