মোদির অঙ্কে ছয় রাজ্যে রাজ্যপাল নিয়োগ

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ চার রাজ্যে সম্প্রতি নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বদলে দেয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের রাজ্যপালকেও। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আইনজীবী জগদীপ ধনখড় হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বদলের পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকাই বেশি দেখছেন খোদ বিজেপির নেতারা। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি ভারত সরকার ও নাগাল্যান্ডের জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী আরএন রবিকে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল করা হয়েছে। তিনি গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা ছিলেন। পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও হন। লালজি টন্ডনকে বিহার থেকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হয়েছে। আর উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক ফাগু চৌহানকে করা হয়েছে বিহারের রাজ্যপাল। এক সময় লোকসভায় বিজেপির প্রধান সচেতক ও ছত্তিশগড়ের নেতা রমেশ ব্যাসকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হয় ত্রিপুরায়। গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেলকে মধ্যপ্রদেশ থেকে সরিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল করা হয়েছে। দলের অনেকের মতে, আনন্দিবেনকে মধ্যপ্রদেশ থেকে সরিয়ে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া ও কমলনাথের রাজ্যে লালজি টন্ডনকে পাঠানোর মধ্যেই মোদির হাত স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদি গুজরাটে তার ঘনিষ্ঠ আনন্দিবেন প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। কিন্তু অমিত শাহের সঙ্গে আনন্দিবেনের সুসম্পর্ক ছিল না। তাকে সরিয়ে বিজয় রূপানিকে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু এখন কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় আছে বিজেপি। সেখানে টন্ডনের মতো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে আসা অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই দরকার বলে মনে করছে মোদি সরকার। উত্তরপ্রদেশের মতো আপাতত 'নিরাপদ রাজ্যে' তাই আনন্দিবেনকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ছত্তিশগড়ে রমন সিংহের সঙ্গে বিবাদে থাকা রমেশ ব্যাসকে পাঠানো হয়েছে আরেক 'নিরাপদ' রাজ্য ত্রিপুরাতে। যেখানে বামপন্থিদের পরাস্ত করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। এবার রমেশ ব্যাসকে লোকসভার প্রার্থীও করা হয়নি। ফাগু চৌহান পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে আসা নেতা। নীতিশ কুমারের বিহারে তাকে রাজ্যপাল করে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের বার্তা দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে ধনখড়কে রাজ্যপাল করে হরিয়ানার ভোটের আগে জাঠদেরও বার্তা দেয়া হলো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। মনোহর লাল খট্টরকে মুখ্যমন্ত্রী করার পর জাঠ ও অন্যদের মধ্যে বিতর্ক এখনো পুরোপুরি মেটেনি। দলের মতে, নতুন নিয়োগে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নেতারাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন।