কাশ্মীর সঙ্কট

ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়বে পাকিস্তান

ভারত যে সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে বিশ্বকে জানাতে চান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইমরান খান
জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করার ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন তিনি। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি ভারত কাশ্মীরিদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার ভারতের সরকার যে সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে 'বিশ্বকে জানাতে' চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইমরান খান বলেন, 'জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আমরা এখন এটি পর্যালোচনা করে দেখছি, এটি সাধারণ পরিষদে তুলব, সব ফোরামেই রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করব, এটি গণমাধ্যমে তুলে ধরব এবং বিশ্বকে জানাব।' জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার মাধ্যমে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক চেহারা পরিবর্তনের সুযোগ পাবে, তিনি এমনটি মনে করছেন বলে জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি শঙ্কিত, এখন কাশ্মীরে জাতিগত নির্মূল করা শুরু হতে পারে। তারা স্থানীয়দের সরিয়ে অন্যদের এনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ বানাতে পারে, যেন স্থানীয়রা দাসে পরিণত হয়।' এর আগে পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান জানান, তার সৈন্যরা কাশ্মীরিদের 'ন্যায্য সংগ্রামে' তাদের পাশে থাকবে। প্রতিবেশী চীনও ভারতের সিদ্ধান্তকে 'অগ্রহণযোগ্য' বর্ণনা করে এর বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে। ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে অঞ্চলটি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। কাশ্মীরের টেলিযোগাযোগ ও গণমাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কারফিউ। ইতোমধ্যেই ভারতের শাসনে অসন্তুষ্ট কাশ্মীরিরা 'বিশেষ মর্যাদা' বাতিলের সিদ্ধান্তে বড় ধরনের প্রতিবাদ শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কায় এসব ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাজ্যটির অল্প কয়েকটি সচল টেলিফোন লাইনের একটি ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া বিবিসির শ্রীনগর প্রতিনিধি আমীর পীরজাদা জানিয়েছেন, তিনি যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের মধ্যে স্পষ্ট ক্রোধের লক্ষণ দেখেছেন তিনি, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন বলে মনে করছেন তারা।