ভস্নাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদি
যাযাদি ডেস্ক
কাশ্মীর ইসু্যতে রাশিয়াকে পাশে পাচ্ছে ভারত। কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে মস্কো। এর আগে কাশ্মীর ইসু্যতে ভারত-পাকিস্তানের উত্তাপে ইসলামাবাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রম্নতি দেয় চীন। এক ঘোষণায় চীনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে পাশে থাকবে বেইজিং। এ অবস্থায় মস্কোর এই ঘোষণায় ভারত কূটনৈতিকভাবে কিছুটা সুবিধা পেল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, স্পুটনিক
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। তারপর থেকেই নতুন করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ভারতের এমন পদক্ষেপকে অবৈধ উলেস্নখ করে এ বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাকিস্তান। এরপরেই কাশ্মীর ইসু্যতে পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করল চীন।
অবশ্য আরেক পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো দেশকে সমর্থন না জানিয়ে বলেছে, পুরো পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ায়ই প্রথম দেশ হিসেবে সরাসরি ভারতের সিদ্ধান্তের সমর্থন জানিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মস্কো চায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা মিটে যাক। রাশিয়া আশা করছে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মস্কো মনে করে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত দুই দেশের পারস্পরিক আলোচনায় সমাধান করা সম্ভব হবে। দুই দেশই দেখবে কাশ্মীরবাসীর যেন কোনো সমস্যা না হয়। রাশিয়ার ওই বিবৃতিতে উঠে এসেছে লাহোর ও শিমলা চুক্তির কথাও। তাতে বলা হয়েছে, 'আমরা আশা করব, শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাপত্র মেনে দুই দেশ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে তাদের যাবতীয় দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটাবে।'
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, দিলিস্নর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশে দূত পাঠিয়ে কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাশ্মীর ইসু্যতে পাকিস্তানের 'বৈধ অধিকার ও স্বার্থের' প্রতি সমর্থন দিয়ে যাবে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই জানিয়েছেন, কাশ্মীরে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চীন বিশ্বাস করে, কাশ্মীর ইসু্যতে একতরফা সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। এটা কখনোই করা উচিত হবে না। উলেস্নখ্য, গত শুক্রবার বেইজিংয়ে এক জরুরি বৈঠক করেছেন চীন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহে কাশ্মীর ইসু্যতে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা করতেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বেইজিং এক বিবৃতিতে ভারত এবং পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক ক্ষোভ কাটিয়ে সঠিকভাবে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একতরফা সিদ্ধান্ত এড়িয়ে একটি নতুন শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে চীন।
