টাইফুন লেকিমা :চীনে ভূমিধসে নিহত ১৮

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক শক্তিশালী টাইফুন 'লেকিমা' আছড়ে পড়ার পর চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ওয়েনঝৌতে ভূমিধসে ১৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ১৬ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে চীনের সংবাদমাধ্যম 'সিসিটিভি' জানিয়েছে। লেকিমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৭ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশে আঘাত হানে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি গত বুধবার এটি সুপার টাইফুনে পরিণত হলেও চীনে আঘাত হানার সময় এর শক্তি অনেকটাই কম ছিল বলে জানিয়েছে চীনা বার্তা সংস্থা 'সিনহুয়া'। লেকিমার কারণে এরই মধ্যে কয়েকশ ফ্লাইট বাতিল এবং ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চীনের আবহাওয়া বু্যরো টাইফুন সতর্কতার মাত্রা আগের 'রেড অ্যালার্ট' থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ 'অরেঞ্জ অ্যালার্টে' নামিয়ে এনেছে। শুক্রবার টাইফুনটি ১৯০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে তাইওয়ানে আঘাত হেনেছিল। সিসিটিভি জানায়, শনিবার উপকূলীয় শহর ওয়েনঝৌর ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। লেকিমা এখন উত্তর দিকে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে এবং শক্তি হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের আবহাওয়া বু্যরো। টাইফুনের কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টি শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল থেকেই এশিয়ার অন্যতম 'ফিন্যান্সিয়াল হাব' খ্যাত সাংহাইকে কার্যত অচল করে রেখেছে। বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংজু, শেনজেন ও চেংডুর বিমানবন্দরগুলোর ছয় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বলে চীনের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিসিটিভি জানিয়েছে। ঝেজিয়াংয়ের সঙ্গে চীনের উত্তরাঞ্চল ও কেন্দ্রের বেশকিছু ট্রেনও বাতিল হয়েছে। প্রদেশটির আট লাখ মানুষের পাশাপাশি সাংহাইয়ের আরও আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তীব্র বাতাস ও বৃষ্টিতে বিদু্যৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঝেজিয়াংয়ের প্রায় ২৮ লাখ বাড়িঘর অন্ধকার হয়ে পড়েছে। প্রদেশটির ছয়টি শহরের ২০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৩০০ হেক্টর কৃষিজমি। রোববার সকালের দিকে টাইফুনটি জিয়াংসু প্রদেশে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়োলো সি ঘুরে এটি পরে আবার শ্যাংডং প্রদেশে আছড়ে পড়তে পারে। টাইফুনের আঘাতে অগ্নিকান্ড, বিস্ফোরণ এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পার্ক ও তেল শোধনাগার থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।