মার্চে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে কাশ্মীরে

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
স্বায়ত্তশাসন বাতিল ও দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পর কাশ্মীরে নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এ লক্ষ্যে নতুন পাস হওয়া জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সীমা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকের সূত্র ধরেই জানা গেছে, আগামী বছরের মার্চে কাশ্মীরের বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সংবাদসূত্র : দ্য হিন্দু অবরুদ্ধ কাশ্মীরে নতুন বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। নতুন পাস হওয়া কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, নতুন বিধানসভা শক্তিশালী করাসহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হয় এই বৈঠকে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নির্বাচনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, নতুন বিধানসভার ১১৪টি আসন থাকবে। এর মধ্যে ২৪টি আসন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের অধীনে পড়ায় সেগুলো শূন্য থাকবে। এর ফলে ৯০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুরনো বিধানসভার আসন সংখ্যা ছিল ১১১টি। তখনো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অধীনে থাকা ২৪টি আসন শূন্য ধরা হতো। এর মধ্যে চারটি আসন ছিল লাদাখ অঞ্চলে। পুনর্গঠন আইনে লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার ফলে এবার কাশ্মীরে অতিরিক্ত সাতটি আসনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জম্মু কাশ্মিরের কোনো অঞ্চলে এই নতুন সাতটি আসন তৈরি করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেয়ার পর বর্তমানে সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে। এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। এছাড়া জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত দুটি আলাদা অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া একটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে কাশ্মীরের দোকান, স্কুল, কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনো গণপরিবহন নেই। ইন্টারনেট-মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা।