ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে 'কালো দিন' পালন পাকিস্তানের

ম জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে দেশটি

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়
যাযাদি ডেস্ক জম্মু-কাশ্মীরে 'বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন'র অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে পুরো পাকিস্তান ও নিয়ন্ত্রণ রেখার উভয় পাশে ভারতের স্বাধীনতা দিবসটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান। এদিন দেশটির পতাকাও অর্ধনমিত রাখা হয়। বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দেশ। কাশ্মীর ইসু্যতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদসূত্র : ডন গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। একই সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। গত ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। পরে আরেক বৈঠকে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, কাশ্মীরের সহিংসতা থেকে বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চায় ভারত। তিনি বলেন, এমনকি ভারতীয় নাগরিকরাও এখন কাশ্মীরে ভারতের 'অবৈধ' পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করবে ভারতের সিদ্ধান্ত ভুল। তিনি বলেন, মোদির সিদ্ধান্তে হুরিয়াতসহ কাশ্মীরের অন্য নেতাদের এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, 'কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভারতকে কারফিউ তুলে নেয়ার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।' পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর (আজাদ কাশ্মীর) সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, এই দিন নিয়ন্ত্রণ রেখার উভয় পাশে কাশ্মীরের শহর ও সব শহরে ভারতবিরোধীর্ যালি হবে। এটিই দিনের বড় কর্মসূচি। মিরপুর জেলা কোর্ট চত্বর থেকে একটির্ যালি বের হয়ে তা শহরের বড় বড় সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। এদিকে, জনগণকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে লাহোরেরর্ যালিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার। তিনি তাদের বলেছেন, 'দেখিয়ে দিন পাকিস্তান ও কাশ্মীরের মানুষ অবিচ্ছেদ্য'। এর আগের দিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, 'কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য যত দূর যেতে হয়, যাবো।' এদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার কথা বলেন ইমরান। কাশ্মীরিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কাশ্মীরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে সব আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মীরের সমস্যার কথা তুলে ধরতে চান। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে বুধবার অধিকৃত কাশ্মীরের এক সমাবেশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কাশ্মীরের সমস্যা জানাতে সব আন্তর্জাতিক ফোরামে যাবেন তিনি। আর ভারত কোনো পদক্ষেপ নিলে পাকিস্তান তার কড়া জবাব দেবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারত এবার পাকিস্তানের জন্য বালাকোটের থেকেও বড় অভিযানের পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানের এবারের স্বাধীনতা দিবস উৎসর্গ করা হয়েছে কাশ্মীরিদের জন্য।