ব্রিটিশ কূটনীতিককে আটক করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সিমন চেং
যাযাদি ডেস্ক হংকংয়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও লাখো মানুষের বিক্ষোভের মধ্যে দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ কনসু্যলেটের এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ ওই কূটনীতিকের প্রেমিকা এ কথা জানিয়েছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স আটক ২৮ বছর বয়সী ওই ব্রিটিশ কূটনীতিকের নাম সিমন চেং। গত ৮ আগস্ট সীমান্ত সংলগ্ন চীনের মূল ভূখন্ডের শহর শেনঝেনে যান তিনি। সেখান থেকে হংকংয়ে ফেরার পথে তাকে আটক করা হয়। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, 'শেনঝেন থেকে হংকংয়ে ফেরার পথে আমাদের দলের একজন সদস্যকে আটক করার খবর সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা তার পরিবারকে সহযোগিতা করব এবং চীনের গুয়ানডং প্রদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাইব।' ব্রিটিশ ওই কূটনীতিকের প্রেমিকা বলেন, ফেরার পথে সিমনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হচ্ছিল। শেনঝেন সীমান্ত পার হওয়ার পূর্বে সে তাকে একটি মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠায়। যাতে লেখা ছিল, 'সীমান্ত পার হওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। আমার জন্য প্রার্থনা করো।' হংকংয়ের অভিবাসন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে, সিমন চেংকে চীনের মূল ভূখন্ডে প্রশাসনিকভাবে আটক করা হয়েছে। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং কী কারণে আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। সিমন চেং হংকংয়ে ব্রিটিশ কনসু্যলেটে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে এমন সময়ে আটক করা হলো যখন হংকংয়ে দুই মাসব্যাপী গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ করছে লাখো মানুষ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হংকংয়ে তুমুল সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে চীনের মূল ভূখন্ডে যাওয়া-আসার সময় সীমান্তে আগের তুলনায় বেশি কড়াকড়ির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে ভ্রমণকারীরা অভিযোগ করেছেন। বিচারের জন্য বাসিন্দাদের চীনের মূল ভূখন্ডে পাঠাতে আইনের সংশোধনী নিয়ে হংকংয়ের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের লাগাম টেনে ধরতে বেইজিং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা তৃতীয় মাসে পড়া এ বিক্ষোভকে 'সন্ত্রাসবাদের কাছাকাছি' বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছে। ভ্রমণকারীরা জানিয়েছেন, হংকং থেকে চীনের মূল ভূখন্ডগামী সবাইকেই এখন চীনা অংশের পুলিশের কঠোর তলস্নাশিতে পড়তে হচ্ছে। কর্মকর্তারা যাত্রীদের মোবাইল ফোনের ছবি ও ভিডিওগুলোও খতিয়ে দেখছেন। বিতর্কিত বহিঃসমর্পণ বিল নিয়ে শুরু হওয়া হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন এখন শহরটিতে রাজনৈতিক সংস্কার ও বিরোধীদের ওপর পুলিশের বর্বর নির্যাতনের বিচারের দাবিতে দানা বাঁধছে।