নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা দেখাল ইরান

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরান এবার নিজেদের বানানো দূরপালস্নার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রদর্শনী করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বৃহস্পতিবার সহজে পরিবহনযোগ্য এ বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থাপনার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতেমি বলেন, 'দূরপালস্নার এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় আমরা ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকেই লক্ষ্যবস্তু বা বিমানকে চিহ্নিত করতে পারবো, ২৫০ কিলোমিটার দূরে আটকাতে এবং ২০০ কিলোমিটার দূরত্বেই ধ্বংস করে দিতে পারবো।' ইরানি গণমাধ্যমে এই বাভার-৩৭৩কে রাশিয়ার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার সমকক্ষ বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস পালন করে। এদিনই নিজেদের বানানো এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা সারাবিশ্বকে দেখাল তেহরান। নানা ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেদের কারণে ইরান বাইরের দেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে না পারলেও, তারা নিজেদের নকশায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বানিয়ে তা মজুদ রেখেছে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা তেহরানের অস্ত্র ও এগুলোর সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হলেও তাদের দূরপালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াশিংটনকে উদ্বেগের মধ্যেই রেখেছে। গত জুনে পারস্য উপসাগরে ইরান ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোনকে ভূপাতিতও করেছে। তেহরান বলছে, অনুমতি ছাড়াই ওই ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এ ভাষ্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, হামলার শিকার হওয়ার সময়ও তাদের মনুষ্যবিহীন ড্রোনটি ছিল আন্তর্জাতিক আকাশসীমায়। চার বছর আগে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। ওয়াশিংটন পরে তেহরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল এবং ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে একের পর এক পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তেল নিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেয়। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই গত কয়েক মাসে পারস্য উপসাগরে বেশ কয়েকটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।