অর্থ সংকট :লাখো ইয়েমেনি অনাহারের হুমকিতে

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হাসপাতালে এক ইয়েমেনি শিশু
যাযাদি ডেস্ক মানবিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষ। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুদানদাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রম্নত অর্থ না পেলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে তারা। গত বুধবার এক বিবৃতিতে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংবাদসূত্র : রয়টার্স ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পালিয়ে যান হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় 'অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম' নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইয়েমেন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানবিক বিপর্যয়ে রয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ। সৌদি নেতৃত্বাধীন অভিযান ও অবরুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ 'তীব্র মাত্রার খাদ্য অনিরাপত্তা'য় ভুগছে। ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কারী লিসে গ্রান্ডে বলেন, 'প্রতিশ্রম্নত তহবিল পাওয়ার জন্য আমরা মরিয়া হয়ে আছি। অর্থ না এলে মানুষকে বাঁচানো যাবে না।' গ্রান্ডে জানান, মে মাসে ভ্যাকসিন কর্মসূচির বেশিরভাগই বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ। নতুন করে তহবিল পাওয়া না গেলে আগামী দুই মাসে ইয়েমেনে ২২টি জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাবে। দুই কোটির বেশি ইয়েমেনির জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ফেব্রম্নয়ারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রায় ২৬০ কোটি ডলার অনুদানের প্রতিশ্রম্নতি দেয়া হয়েছিল। এর অর্ধেকের বেশি তহবিল জোগানোর প্রতিশ্রম্নতি এসেছিল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে। তবে এ পর্যন্ত অর্থ সংগ্রহ হয়েছে অর্ধেকেরও কম। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এ দুই দেশের প্রত্যেকে 'ইয়েমেন মানবিক সহায়তা বিষয়ক পরিকল্পনা ২০১৯' খাতে ৭৫ কোটি ডলার করে অনুদানের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত এ তহবিলে সৌদি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৬ কোটি ডলার।