ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির জীবনাবসান

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা অরুণ জেটলি মারা গেছেন। দিলিস্নর 'অল ইনডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস) হাসপাতালে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক মারা যান। গত ৯ আগস্ট থেকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সংবাদসূত্র : পিটিআই, এনডিটিভি পাঁচ বছর অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পর অসুস্থতার কারণে নিজেই মোদির এবারের সরকারে না থাকার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। একই কারণে নির্বাচনও করেননি। অসুস্থতার কারণে ২০১৯ সালের অন্তর্র্বর্তী বাজেটও পেশ করতে পারেননি তিনি। তার হয়ে ওই বাজেট পেশ করেন তার সহকর্মী পিযুষ গয়াল। অসুস্থতার কারণে মোদির বিগত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও এবারের সরকারে থাকেননি। সম্প্রতি তিনি মারা গেছেন। গত বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় অরুণ জেটলির কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি অসুস্থতার মধ্য দিয়েই চলছিলেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন অটল বিহারি বাজপেয়ির সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন পেশায় আইনজীবী অরুণ জেটলি। ভোটের রাজনীতিতে অসফল হলেও মোদির সরকারে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জোটের রাজনীতিতে ভূমিকার জন্য অরুণ জেটলি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। তার মৃতু্যতে শোক জানিয়ে মোদি বলেন, 'তিনি মূল্যবান একজন বন্ধুকে হারালেন'। অরুণ জেটলির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দিলিস্নতে। তার বাবা মহারাজ কিষাণ জেটলিও ছিলেন একজন আইনজীবী। হিসাব বিজ্ঞানে পড়াশোনার পর দিলিস্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেন তিনি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা ছিলেন; দিলিস্ন ইউনিভার্সিসিটির ছাত্র সংসদের সভাপতিও ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির সময় অন্য অনেকের সঙ্গে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওই সময় তিনি ছিলেন ছাত্রনেতা। পেশায় আইনজীবী অরুণ জেটলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গত শতকের ৮০ দশকে বিজেপিতে সক্রিয় হন। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে ছিলেন। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ির সরকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার ওপর চেপেছিল। কংগ্রেস আমলে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অরুণ জেটলি বিয়ে করেন কাশ্মীরের সাবেক অর্থমন্ত্রী গিরিধারী লাল ডোগরার মেয়ে সঙ্গীতাকে। তাদের দুই ছেলেমেয়েও আইনজীবী।