যাযাদি ডেস্ক
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর সংকট দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের বাতিতে আলো জ্বালিয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান 'স্ট্র্যাটফর'। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলে দিলিস্নর নেয়া পদেক্ষেপের কারণে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মাঝেই মার্কিন এই থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা নিয়ে সতর্ক করে দিল। সংবাদসূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
স্ট্র্যাটফরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অঞ্চলে নিজ দেশের পারমাণবিক যুদ্ধের নীতি 'আক্রান্ত হলেই কেবল হামলা' বদলের ঘোষণা দেয়ার পর পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনাথ সিং কোনো দেশের নাম উলেস্নখ না করলেও প্রতিবেশী পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করেই যে এই হুমকি দিয়েছেন সেটি পরিষ্কার।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ভারত এবং পাকিস্তান যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংসযজ্ঞের পর হবে প্রথম পারমাণবিক যুদ্ধ। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় কিংবা ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলে দিলিস্ন ও ইসলামাবাদের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে মার্কিন এই থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান। প্রতিবেদনে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সুরক্ষায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি উলেস্নখ করা হয়েছে।
মার্কিন এই প্রতিষ্ঠান বলছে, বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হলো কাশ্মীরিদের চাওয়াকে গুরুত্ব দেয়া। প্রশ্ন হলো, কাশ্মীরের জনগণ আসলে কী চায়? তাদের কাছে কেউ জানতে চায় না। কিন্তু পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি থেকে তাদের ও বিশ্বের সুরক্ষার জন্য একমাত্র সমাধান কাশ্মীরিদের কথা শোনা।
উলেস্নখ্য, এর আগে কাশ্মীর সংকট থেকে দিলিস্ন-ইসলামাবাদ পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে বলে হুশিয়ার করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছিলেন, কাশ্মীর থেকে দৃষ্টি সরাতে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত। আসিফ গফুর বলেন, ভারতের যে কোনো হুমকি মোকাবেলা করতে পাকিস্তান 'সম্পূর্ণ প্রস্তুত'।
