সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মুক্তি পেয়েছেন সেই মাসুদ আজহার যাযাদি ডেস্ক কাশ্মীর ইসু্যতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক যখন চরম তিক্ততায় মোড় নিয়েছে, ঠিক তখনই মুক্তি দেয়া হয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে। মাসুদ আজহার পাকিস্তানের জেলে নয়, বরং জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তরে রয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, শিয়ালকোট-জম্মু ও রাজস্থান সীমান্তে বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান এই জঙ্গি নেতাকে মুক্তি দিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, সন্ত্রাসবাদীদের সহযোগিতা করতেই ওই দুই সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই জইশ-প্রধানকে গোপনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর আগে, ১৪ ফেব্রম্নয়ারি পুলওয়ামা হামলার ঘটনার পর নানা মহলের চাপে পড়ে মাসুদকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। ভারতের দাবি, একাধিক জঙ্গি নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা, ২০০৫ সালে অযোধ্যা হামলার পেছনেও দায়ী মাসুদ আজহার। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি গোমূত্র ও গোবরের ব্যবসায় সহায়তা যাযাদি ডেস্ক গোমূত্র এবং গোবরের ব্যবসা শুরু করলে তরুণদের আর্থিক সহায়তা দেবে ভারতের মোদি সরকার। গোমূত্র এবং গোবরের সফলভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতের গুজরাট রাজ্যের গান্ধীনগরে 'এন্টারপ্রিনিউরশিপ ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউট অব ইনডিয়া'র একটি অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রীয় 'কামধেনু আয়োগ'র চেয়ারম্যান বলস্নভ খাতিরিয়া বলেন, 'স্টার্ট আপ ইনডিয়ার' আওতায় যারা গো-সংক্রান্ত পণ্যের ব্যবসা করবেন, তাদের প্রাথমিক মূলধনের ৬০ শতাংশ সহয়তা করবে সরকার। খাতিরিয়া জানান, তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে শুধু দুধ বা ঘি নয়, গরুর বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে যেন আয় হয়, সেজন্য সব রকমের সাহায্য করবে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ওষুধ এবং সার তৈরিতে গোমূত্র ও গোবর ব্যবহার হয়। গো-সংক্রান্ত ব্যবসায় সব ধরনের উৎসাহ দিতে তৎপর কেন্দ্র। মোদি সরকার ফেব্রম্নয়ারিতে ৫০০ কোটি রুপির কামধেনু আয়োগ প্রতিষ্ঠা করে। এই আয়োগের মূল লক্ষ্য গরুর নিরাপত্তা এবং গো সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরি করা। এর আগে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্যে গো-পর্যটন তৈরির ঘোষণা দেন কামধেনু আয়োগের এই চেয়ারম্যান। সংবাদসূত্র : জি-নিউজ ফ্রান্সে দাবদাহে মারা গেছেন ১৪৩৫ জন যাযাদি ডেস্ক তীব্র দাবদাহে ফ্রান্সে এবারের গ্রীষ্মে এক হাজার ৪৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দাবদাহজনিত নানা রোগে তারা মারা গেছেন। তাদের অর্ধেকেরই বয়স ৭৫ বছরের ওপরে। রোববার ফরাসি বেতার 'ইন্টার রেডিও'তে দেয়া বক্তব্যে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বুজঁ এ তথ্য জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাগনেস বলেন, গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো। তবে মানুষের মধ্য সচেতনতা বাড়াতে সরকারের বহুমুখী প্রচারণার ফলে এ সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফ্রান্সে গত জুন ও জুলাই মাসে মোট ১৮ দিন রেকর্ড দাবদাহ ছিল। এবার দাবদাহে মৃতদের মধ্যে ২৪ জুন থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে ৫৬৭ জনের। ২১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত মৃতু্য হয়েছে আরও ৮৬৮ জনের। গত জুনে ফ্রান্সে রেকর্ড ৪৬ সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। জুলাইয়ে রাজধানী প্যারিসে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ সেলসিয়া তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছিল। যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়। তবে ফ্রান্স ছাড়া অন্য কোনো দেশ সরকারিভাবে বছরভিত্তিক তাপদাহে প্রাণহানির সংখ্যা প্রকাশ করে না। সংবাদসূত্র : বিবিসি মরছে একের পর এক কুকুর যাযাদি ডেস্ক নরওয়েতে গত কয়েকদিন ধরে রহস্যজনক রোগে একের পর এক কুকুরের মৃতু্য হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক দিনে দেশের নানা জায়গায় ৪০টির বেশি কুকুর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে সেগুলো বমি করতে থাকে, পরে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অসুস্থ কুকুরগুলোর বেশিরভাগই মারা গেছে। রাজধানী অসলোতে প্রথম কুকুর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে বলেও জানান তারা। পরে আরও অন্তত ১৩টি নগরীতে একই ঘটনা ঘটতে শুরু করে। পশু চিকিৎসা সংস্থা থেকে বলা হয়, তারা এখনো কুকুরগুলো কী রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে কয়েকটি কুকুরের ময়নাতদন্তে তাদের শরীরে দুই ধরনের ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া গেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি