নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকেও বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে জন বোল্টনকেও বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তালেবান প্রতিনিধিদের যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে বিভাজনের খবরের মধ্যে তাকে চাকরিচু্যত করা হল। সংবাদসূত্র : রয়টার্স ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসা জন বোল্টন ছিলেন ট্রাম্পের তৃতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তার আগে এই পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে মাইকেল ফ্লিন ও ম্যাকমাস্টারকে। বল্টনের পদত্যাগের খবর জানিয়ে ট্রাম্প মঙ্গলবার এক টুইটে লেখেন, 'গত রাতে আমি জন বোল্টনকে বলেছি যে, হোয়াইটে হাউজে তার সেবা আর দরকার নেই। প্রশাসনের অনেকের মতো আমিও তার অনেক পরামর্শের বিষয়ে জোরারেঅ আপত্তি জানিয়েছি। এবং সে কারণে আমি জনকে পদত্যাগ করতে বলেছি, যা তিনি সকালে আমাকে দিয়েছেন।' আগামী সপ্তাহে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। সিএনএন বলছে, উত্তর কোরিয়া ও আফগানিস্তান বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন জন বোল্টন। গেল বছর ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ট্রাম্পের অবস্থান সমর্থন করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে এসেছিলেন তিনি। এরমধ্যে মতবিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বোল্টন নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সম্পর্ক অনেকটা শত্রম্নতায় রূপ নেয় বলে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে প্রেস সচিব স্টেফানি গ্রিশাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট বোল্টনের অনেক নীতি পছন্দ করতেন না, তাদের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। হোয়াইট হাউসের ছেড়ে দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বোল্টনও। তিনিও টুইটারে লিখেছেন, সোমবার রাতে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের সূচি অনুসারে, ছাঁটাই হওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টা আগেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মুচিনের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে ছিলেন। বোল্টন সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছেন। রোনল্ড রিগ্যান, সিনিয়র বুশ ও জর্জ ডবিস্নউ বুশের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার সময়ে জাতিসংঘে মার্কিন দূত ছিলেন বোল্টন। ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার তথ্য সামনে এনেছিলেন তিনি। পরে ভুল প্রমাণিত হওয়া এই তথ্যের কারণে ১৫ বছর ধরে চলছে ইরাক যুদ্ধ। উত্থান ঘটেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর। ইরান আর উত্তর কোরিয়াতেও হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।