ফিলিপাইনে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এর মধ্যে মারা গেছে এক হাজার ২১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, সিনহুয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি এনরিক ডোমিনগো বলেন, 'চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে মৃতের সংখ্যা ১০২১। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬২২ জন।' তিনি আরও বলেন, 'মারা যাওয়া ১০২১ জনের মধ্যে ৪০ শতাংশই হচ্ছে শিশু, যাদের বয়স ৫ থেকে ৯ বছরের মধ্যে।' দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩২। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ২২৪। এর আগে গত ৬ আগস্ট ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকে জাতীয় মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে ফিলিপাইন। এর আগে গত জুলাইতে 'জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা' জারি করেছিল দেশটি। আগস্টে মহামারীর ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রানসিস্কো দুকু বলেন, 'সারা দেশে মহামারী ঘোষণার কারণ হলো, যেন কোন এলাকায় সাহায্য বেশি দরকার সেটি চিহ্নিত করা যায়। স্থানীয় সরকার বিষয়ক ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করা দরকার যাতে করে মহামারী চলাকালে জরুরি তহবিল ব্যবহার করা যায়। উলেস্নখ্য, ফিলিপাইনে প্রতি তিন-চার বছর পর পর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে সর্বশেষ প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিলো ২০১৬ সালে। এবার মিমারোপা, ওয়েস্টার্ন ভিসায়াস, সেন্ট্রাল ভিসায়াস ও নর্দার্ন মিন্দানাও-এর মতো অঞ্চলগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। এসব এলাকায় ২ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। এইডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৪০ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। তাদের বেশিরভাগই ক্রান্তীয় বা উপ-ক্রান্তীয় দেশগুলোর বাসিন্দা। এ রোগে যুগলসন্ধিতে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং গুরুতর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণ ও বিভিন্ন অঙ্গে অসাড়তা পরিলক্ষিত হতে পারে। ডেঙ্গুর বিশেষ কোনো চিকিৎসা না থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তের পর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে মৃতের সংখ্যা এক শতাংশেরও কম হয়।