সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রিয়াদ। ভয়াবহ ওই হামলার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। এ সময় যুবরাজ ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দেন, এই হামলার জবাব দিতে তার দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। তারপরও নিরাপত্তা ইসু্যতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী সৌদি আরব। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা, টাইম
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুবরাজের কথা হয়েছে। এ সময় এমবিএস জানান, 'সন্ত্রাসী হামালা মোকাবিলায় রিয়াদ সক্ষম ও প্রস্তুত।' যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ট্রাম্প এমবিএসকে জানিয়েছেন, 'ড্রোন হামলার পর সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিকে সহায়তায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।'
রিয়াদ অভিযোগ করে আসছে, সৌদি আরবের ঘাঁটিগুলোতে হামলায় ব্যবহৃত হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ইরান তাদেরকে সরবরাহ করে। অবশ্য তেহরান ও হুতি বিদ্রোহীরা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ওই লড়াই শুরুর পর থেকে সৌদি আরবে বেশ কয়েক দফায় হামলা চালানোর স্বীকারোক্তি দিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সকালে তারা সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালায়।
