এনআরসি :প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা ভুলে ভরা

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে গত শনিবার অনলাইনে যে নতুন নাগরিক তালিকা (এনআরসি) যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তা ভুলে ভরা। এদিন তিন কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬১ জনের সম্পূর্ণ তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। গত ৩১ আগস্ট বলা হয়েছিল, যাদের নাম চূড়ান্ত খসড়ায় এসেছে এবং তারপরে কোনো শুনানিতে ডাকা হয়নি বা নাম বাদ পড়ার তালিকায় ওঠেনি, তাদের কোনো চিন্তা নেই। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ কিন্তু প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে ভুলের ছড়াছড়ি। যারা এর আগেই সংশোধনের আবেদন করেছিলেন, তাদেরও অনেকের নাম, বাবার নামে যেমন ভুল ছিল, তেমনই রয়ে গেছে। কারও আবার খসড়ায় সব কিছু ঠিক থাকলেও চূড়ান্ত তালিকায় দেখা যাচ্ছে বানান বিভ্রাট, কারও বাবার নামই ভিন্ন। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে লেখা 'পেন্ডিং'। তালিকা শুধুই অসমিয়া ভাষায়। বাংলা-অসমিয়ার উচ্চারণগত ফারাক প্রভাব ফেলেছে তালিকায়। সুজিত হয়েছে 'চুজিত', সুপর্ণা 'চুপর্ণা'। বহু নামের যুক্তাক্ষর ভেঙে এমন চেহারা নিয়েছে যে, উচ্চারণ করাই কঠিন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঠিকানা বদলের ঘটনাও ঘটেছে। শিলচর টিটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে বলেন, 'প্রথম তালিকায় সব ঠিক ছিল। চূড়ান্ত তালিকায় আমার ও স্ত্রী- দুই জনেরই বাবার নামের জায়গায় অন্যের বাবার নাম যোগ হয়েছে। রাজ্য বিজেপি এই এনআরসিকে চূড়ান্ত বলে মানতে নারাজ। তারা এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে গোটা তালিকা ফের যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছে। শিলচরের বিজেপির এমপি রাজদীপ রায়ের কথায়, 'একমাত্র সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির পরই একে চূড়ান্ত বা বৈধ নথি বলা যেতে পারে। তবে তার আগে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে এই তালিকা যাচাই করা হোক।' এদিকে, শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসামের বিজেপি এমপি রামেশ্বর তেলি বলেন, 'তালিকায় বহু হিন্দুর নাম বাদ গেছে। তাদের বিষয়টি নিয়ে আদালতে দল যাবে কি না, সেটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের স্বার্থেই এনআরসি হওয়া দরকার।' অন্যদিকে, লক্ষাধিক গোর্খা এনআরসি থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল আসামে গেছে। বিনয় বলেন, 'এটি খুবই জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়। আমরা আসামের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়াতে চাই না। বিপন্ন গোর্খাদের সাহায্য করতে চাইছি।'