সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্নোডেন রাজনৈতিক আশ্রয় চান ফ্রান্সে যাযাদি ডেস্ক ফ্রান্স তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেন আশা করছেন। 'ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্নোডেন এমনটি বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি আজ (সোমবার) সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। রেডিও স্টেশনটির টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত উদ্ধৃতিতে স্নোডেন বলেন, তিনি এই দেশে বাস করতে পারেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তেমন ইঙ্গিত দিলে তা 'দেখতে ভালো লাগবে' তার। সাক্ষাৎকারটি কখন, কোথায় গ্রহণ করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গোপন নজরদারি কর্মসূচির বিস্তারিত ফাঁস করে দেয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়ায় বাস করছেন স্নোডেন। বিশ্বের বহু মানবাধিকার কর্মী তাকে একজন বীর হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়। বছর দুই আগে স্নোডেন এক টুইটে রাশিয়ার মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে নিজের সমালোচনা তুলে ধরেছিলেন। আর রুশ সরকার তাকে তাদের একটি 'দায়' হিসেবে দেখে বলে জানিয়েছিলেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যাযাদি ডেস্ক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের একট ড্রোন ভূপাতিত করেছে 'পপুলার ফ্রন্ট অব দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন'-পিএফএলপি। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম 'হারেৎজ' জানিয়েছে, ড্রোনটি সম্ভবত ফিলিস্তিনের আরেক বিদ্রোহী সংগঠন ইসলামি জিহাদের, যা ভুল করে ভূপাতিত করেছে পিএফএলপি। তেল আবিব দাবি করেছে, তাদের কোনো ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ব্যাপারে তারা এখনো অবগত নয়। পিএফএলপির পক্ষ থেকে ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করা হলেও গাজার সূত্রগুলো হারেৎজকে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস ও ইসলামি জিহাদ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, গাজার খান ইউনুস এলাকায় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। সেখানে ইরানের তৈরি একটি ড্রোন ছিল, যা ইসলামি জিহাদ ব্যবহার করে। ইসলাইলি ভেবে ওই ড্রোনে ভুল করে গুলি চালায় পিএফএলপি। তবে হামাস ও ইসলামী জিহাদ কোনো মন্তব্য করেনি। সংবাদসূত্র : এএফপি, রয়টার্স কুয়া থেকে উদ্ধার ৪৪ মৃতদেহের অংশ যাযাদি ডেস্ক মেক্সিকোর হালিসকো রাজ্যের একটি কুয়া থেকে বহু দেহাংশ উদ্ধার করার পর সেগুলোর মধ্য থেকে ৪৪টি মৃতদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন দেশটির ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র দুর্গন্ধের বিষয়ে অভিযোগ করতে শুরু করার পর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে মানবদেহের খন্ডাংশগুলো উদ্ধার হয়। গুয়াদালাহারা শহরের কাছে একটি কুয়ার ভেতরে ১১৯টি কালো ব্যাগে এগুলো লুকানো ছিল। মৃতদেহগুলোর অধিকাংশই টুকরা টুকরা করা ছিল। তাই সেগুলোকে শনাক্ত করতে খন্ডবিখন্ড অংশগুলো জোড়া দিতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষগুলোকে। ৪৪টি মৃতদেহ শনাক্ত করার পরও মানবদেহের অনেক খন্ডাংশ অশনাক্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। নিখোঁজ লোকদের অনুসন্ধানে নিয়োজিত স্থানীয় একটি সংগঠন, শনাক্তকরণের কাজে সাহায্য করতে পারবে, এমন আরও বিশেষজ্ঞ পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। কারণ স্থানীয় ফরেনসিক বিভাগ চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। মেক্সিকোর সবচেয়ে হিংস্র মাদক অপরাধী দলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটির কেন্দ্রস্থল হালিসকোতে। চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো এ রাজ্যটিতে বহু লোকের দেহের খন্ডাংশ পাওয়ার ঘটনা ঘটল। সংবাদসূত্র : বিবিসি ডাকে পাঠানো চিঠি গেল ১৯ বছর পর! যাযাদি ডেস্ক ডাক বিভাগ থেকে তুহিনশংকর চন্দের ফোনে একটা এসএমএস এলো। তা দেখে চমকে গেলেন তিনি। দেখলেন, ২০০০ সালে ডাক বিভাগের 'স্পিড পোস্টে' তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর গন্তব্যে পৌঁছেছে। প্রায় দুই দশক আগের স্পিড পোস্টে (দ্রম্নত পৌঁছানোর জন্য) পাঠানো ওই চিঠি গন্তব্যে পোঁছানোর আশা তিনি ছেড়েই দিয়েছিলেন। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে। সুদর্শনপুরের বাসিন্দা তুহিনশংকর চন্দ জানান, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি রায়গঞ্জ প্রধান ডাকঘর থেকে চিঠিটি পাঠান তিনি। কাকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন এবং কী লিখেছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তা মনে করতে পারছিন না। তিনি বলেন, ১৯ বছর আগে চিঠি লিখেছিলাম। আজ স্পিড পোস্টে তা গন্তব্যে পৌঁছল। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস