রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন
যাযাদি ডেস্ক
বৃহৎ দুই তেলক্ষেত্র আক্রান্ত হওয়ার পর সৌদি আরবের উচিত রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। সোমবার তুরস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। পুতিন বলেন, সৌদি আরবের কাছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করে দেশটির জনগণ ও তেলক্ষেত্রগুলোকে রক্ষায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত মস্কো। সংবাদসূত্র : পলিটিকো, আল-জাজিরা
সৌদি আরবকে রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার প্রস্তাব দিয়ে দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রকে উপহাস করেছেন পুতিন। তিনি যতটা না রিয়াদকে বার্তা দিতে চেয়েছেন; তার চেয়ে বেশি বার্তা দিতে চেয়েছেন রিয়াদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটনের প্রতি। কেননা, সৌদি আরবের সমরাস্ত্র ক্রয়ের বড় উৎস যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বরাবরই দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য উৎসাহিত করে থাকেন।
পুতিনের উপহাস অবশ্য শতভাগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিই ছিল; এমন নয়। কেননা যে সংবাদ সম্মেলন থেকে পুতিন রিয়াদকে রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার প্রস্তাব দেন, সেখানেই তার পাশে ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। আর এই ইরানকেই তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য দায়ী করে আসছে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। পুতিন যখন এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দুজনের চোখেই হাসির ঝিলিক ফুটে ওঠে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমরা সৌদি আরবকে তাদের জনগণের সুরক্ষায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। ইরানের মতো তাদেরও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আর তা হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে নেয়া। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ানও মস্কোর কাছ থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুতিন বলেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সৌদি আরবের যেকোনো অবকাঠামোকে সব ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে।
