কাশ্মীরে নিয়মিত মারধরের শিকার সাংবাদিকরা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে ভারত সরকারের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই উপত্যকায় বিপাকে রয়েছেন সাংবাদিকরা। কারণ সেখানে সংবাদ সংগ্রহের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে প্রবেশ করলে তার জন্য শাস্তি পেতে হচ্ছে। সংবাদসূত্র : এএনআই গত ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ মিনিট পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়ে এখন বিশ্রামে আছেন জম্মুর একটি স্থানীয় পত্রিকার ফটোসাংবাদিক শহিদ খান। তার ডান কাঁধে চিড় ধরেছে। পস্নাস্টার লাগানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'খবর করতে গিয়ে নিজেই খবর হয়ে যাবো, সেটা ভাবিনি।' শহিদের দাবি, শ্রীনগরের রায়নাওয়াড়ি এলাকায় মহরমের মিছিলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তিনি এবং পাঁচ ফটোসাংবাদিক। পুলিশ এসে তাদের বেধড়ক মারতে শুরু করে। শহিদ বলেন, পুলিশ মারতে মারতে বলছিল, ভিডিও তুলে কেন আমাদের ঝামেলা বাড়াচ্ছ? পুরো উপত্যকাজুড়েই এভাবে হাত-পা বাঁধা সাংবাদিকদের। সরকারি মিডিয়া সেন্টারে একটাই ইন্টারনেট কানেকশনে চলছে মাত্র ১০টা কম্পিউটার। খবরের জন্য সরকারি কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎতো দূরের কথা, ফোনে কথা বলারও উপায় নেই। তাছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে খবর করতে গেলেই জুটছে পুলিশের নিয়মিত মারধর। কাশ্মীরের প্রবীণ সাংবাদিক নাসির এ গনাই বলেন, সাংবাদিকদের চাপ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইছে প্রশাসন। শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, তাদের পরিবারের নামেও পুলিশ অকথ্য গালিগালাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্রীনগরের জাহাঙ্গীর চকের কাছে গত ৮ অক্টোবর পুলিশের নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপত্যকার আরও এক মহিলা সাংবাদিক রিফাত মহিদিন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীনগরের আরেক সাংবাদিক জানান, এই দেড় মাসের মধ্যে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তাকে অন্তত পাঁচ বার ঘুরপথে খবর সংগ্রহ করতে যেতে হয়েছে।