কাশ্মীর নিয়ে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজ শরণে ইমরান

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইমরান খান ও মোহম্মদ বিন সালমান
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি বাদশাহ এবং যুবরাজের শরণাপন্ন হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার জেদ্দায় দুই দিনের সফরে গিয়ে প্রথমে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং পরে যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলারও নিন্দা জানান ইমরান। সংবাদসূত্র : ডন, বিবিসি আগামী সপ্তাহেই নিউইয়র্কে বসছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। তার আগেই সৌদি বাদশাহ সালমান ও এমবিএসের সঙ্গে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন ইমরান। সৌদি নেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ শেষে ইমরান খান নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে ইমরান খান জেদ্দায় বিমানবন্দরের রাজকীয় টার্মিনালে অবতরণ করলে তাকে স্বাগত জানান মক্কার গভর্নর খালিদ বিন ফয়সাল আল সোউদ। এবারের সফরে ইমরান খানের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী এবং ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং অর্থ উপদেষ্টা আবদুল হাফিজ শেখ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। সৌদি বাদশাহ এ সময় কাশ্মীরিদের সঙ্গে তাদের একাত্মতা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ইমরান খান কাশ্মীর পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়েও আলোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি সৌদি আরবের আরামকো তেল স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানান। দিলিস্নর ওই পদক্ষেপের পর এর প্রতিবাদে জাতিসংঘে বৈঠকের আবেদন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এতে কাজ না হওয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি চিঠি দেন নিরাপত্তা পরিষদে। পরে চীন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের জন্য আহ্বান জানালে তা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। পরে তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানায়। গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে উপত্যকাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেখানকার শত শত নেতাকর্মীকে। এরপর থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তারই ধারাবাহিকতায় ইমরান খান সৌদি সফর করে তাদেরকে পাশে পেতে চাইছেন। \হ