পারস্য উপসাগরে যুদ্ধবিমানের মহড়া শুরু ইরানের

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইরানের রেভুলিউশনারি গার্ড ও বিমানবাহিনী পারস্য উপসাগরের আকাশে যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির যে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে- তার প্রস্তুতি হিসেবেই এই মহড়া চালাচ্ছে দেশটি। সংবাদসূত্র : এএফপি, গাল্ফ নিউজ দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে এই মহড়া শুরু করেছে ইরান। মহড়ায় দেশটির বিমানবাহিনী ও আইআরজিসির অনেক কমব্যাট, ট্যাক্টিক্যাল, ট্যাংকার যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। রোববার থেকে ইরানে প্রতিরক্ষা সপ্তাহ শুরু হবে। সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রস্তুতি পরীক্ষার জন্যই মূলত এই মহড়া শুরু হয়েছে। প্রস্তুতি মহড়ার প্রথম দিন ছিল গত বুধবার। ওইদিন ইরানের যুদ্ধবিমান দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত বন্দর নগরী বান্দার আব্বাসের শহীদ আবদুল করিমি বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। ইরানের বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ ভাহেদি বৃহস্পতিবার জানান, 'মূলত আমাদের প্যারেড প্রতিবেশী দেশগুলোকে শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে। রোববার যুদ্ধবিমান ছাড়াও মহড়ায় ২০০টি ফ্রিগেট এবং স্পিডবোট অংশ নিয়ে তাদের নৌশক্তির প্রদর্শন করবে।' জেনারেল ভাহেদি বলেন, 'আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি এবং সক্ষমতা প্রদর্শনের কাজটি করবে এই ব্রিগেড। এছাড়াও সেনাবাহিনী ও ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড বাহিনীর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করাও আরও একটি উদ্দেশ্য।' ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ এই জেনারেল পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালিতে তার দেশের স্থায়ী নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তেহরানের এই সামরিক মহড়া এমন সময়ে শুরু হলো, যখন ইরানকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আঞ্চলিক মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। এদিকে, পারস্য উপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় নৌ-চলাচলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক নৌ-সামরিক জোটে যোগ দেবে না ইরাক। শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় বাগদাদ। তারা বলছে, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে ওই সামরিক জোট। ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আল-সাহাফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাগদাদ বিশ্বাস করে, পারস্য অঞ্চলের নৌ-পথের সুরক্ষায় যে কোনো সামরিক জোট গঠন ওই অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই জোটে যোগদানের পরপরই ইরাকের এই ঘোষণা এলো।