প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ

মিসরে বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দাবি এইচআরডবিস্নউর

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক মিসরে দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবারের ধারাবাহিকতায় এ দিনও দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নেমে আসে আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে আগামী শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা আরও বড় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। সংবাসূত্র : রয়টার্স, টিআরটি ওয়ার্ল্ড বন্দরনগরী সুয়েজে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরও যারা সেখানে জড়ো হয়, তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। প্রেসিডেন্ট সিসির পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে মানুষ রাজপথে নেমে এলে দেশটির আন্দোলন সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র 'তাহ্‌রির স্কোয়ার' চত্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। ২০১৩ সালে সামরিক অভু্যত্থানে দেশটির ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচু্যত করার পর থেকে মিসরে এ ধরনের বিক্ষোভ বিরল। ওই অভু্যত্থানের পর আইন করে এ ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে সিসি সরকার। তবে একদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট সিসি ও তার বলয়ের লোকজনের ব্যাপক দুর্নীতি সাধারণ মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মিসরে মোটাদাগে প্রতি তিনজনে একজন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তাদের দৈনিক আয় ১.৪০ ডলারের কম। আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দাবি এইচআরডাবিস্নউর এদিকে, মিসরে শুক্রবার জেনারেল সিসির পদত্যাগের দাবিতে হওয়া বিক্ষোভ থেকে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জোরাল হয়ে উঠেছে। শনিবার এক বিবৃতিতে আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাবিস্নউ)। এইচআরডবিস্নউয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারের সুরক্ষা দিতে মিসর সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবারের বিক্ষোভের ঘটনায় অন্তত ৭৪ জনকে আটক করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক মাইকেল পেজ বলেন, 'প্রেসিডেন্ট সিসির নিরাপত্তা বাহিনী আবারও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বানচালের জন্য নৃশংসতার আশ্রয় নিয়েছে।'