অভিযোগ অমিত শাহের

কাশ্মীরের একাংশ পাক নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার জন্য নেহেরু দায়ী

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ
যাযাদি ডেস্ক জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। তিনি মন্তব্য করেছেন, ১৯৪৭ সালে নেহেরুর ঘোষিত 'অসময়ের যুদ্ধবিরতি'র কারণেই এটি হয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীরকে অখন্ড রাখার ব্যর্থতার দায় জওহরলাল নেহেরুর এবং এই ইসু্যটা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলস্নভভাই প্যাটেলের। রোববার মহারাষ্ট্রে বিজেপির এক নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অমিত শাহ। আগামী ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। অমিত শাহ বলেন, নেহেরু যদি পাকিস্তানের সঙ্গে অসময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করতেন, তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনো অস্তিত্ব থাকতো না... নেহেরুর পরিবর্তে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল সরদার প্যাটেলের। সরদার প্যাটেল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সব রাজ্যই ভারতের অংশ হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বাতিল হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতির আদেশে এখন জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। কাশ্মীরের এই বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশটির আধাসামরিক কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) অন্তত ৪৩ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। তার আগে বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ। কাশ্মীরিরা অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বাইরে থাকা অনেকেই এখন পর্যন্ত তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। যদিও দেশটির সরকার বলছে, রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ আগের মতো সচল রয়েছে। অমিত শাহ বলেন, '৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘটনায় বিরোধীদল কংগ্রেস রাজনীতি দেখছে। কিন্তু আমরা এ বিষয়টিকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি না... আমাদের জন্য এটি জাতীয়তাবাদের বিষয়।' তার ভাষায়, জওহরলাল নেহেরুর কারণে জম্মু ও কাশ্মীর সংবিধানে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল। এমনকি এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল।