শরণার্থীর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনছেন ট্রাম্প

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অভিবাসীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রকল্পের আওতায় মাত্র ১৮ হাজার অভিবাসীকে দেশটিতে থাকতে দেয়ার অনুমতির ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। মার্কিন সেনাবাহিনীকে সহায়তা করা ইরাকি ও নিপীড়নের শিকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা এ ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সংবাদসূত্র : রয়টার্স অভিবাসী সংখ্যা কমানোকে ট্রাম্প তার প্রশাসনের অন্যতম মূল লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন শরণার্থী সংখ্যা ৫০ হাজারে নামিয়ে এনেছিল। পরের বছরগুলোতে যথাক্রমে ৪৫ হাজার ও ৩০ হাজার। আর এবার সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়াল ১৮ হাজারে। এর আগে ২০০২ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর এই সংখ্যা সর্বনিম্ন ২৭ হাজার করা হয়েছিল। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আসা অভিবাসীরা তাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, প্রচলিত মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে। তবে, এই ঘোষণার সমালোচনা করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। 'ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি'র প্রধান ডেভিড মিলব্যান্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আজ খুবই দুঃখজনক দিন। এই সিদ্ধান্তে আবার প্রমাণ হয়, দেশটির নেতৃত্ব বিশ্বে ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলোর কথা ভাবেন না। গত কয়েক মাসে ব্যাপক হারে বেড়েছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ। পানিতে ভেসে আসা এল সালভেদরের এক অভিবাসী ও তার মেয়ের পানিতে ভেসে আসা নিথর মরদেহের ছবি ভাবিয়ে তোলে সবাইকে। সবার চোখের সামনে যেন ভেসে উঠেছে সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহ। চলতি সপ্তাহেই শিশুসহ আরও তিনজন অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। আর এই মৃতু্যর মিছিলের জন্য ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে নিহত হন ২৮৩ অভিবাসীপ্রত্যাশী মানুষ। যার মধ্যে আছেন নারী এবং শিশুও। 'আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ' ইউনিয়নের অভিবাসী অধিকার প্রকল্পের পরিচালক ওমর জাদওয়াত বলেন, 'নিপীড়ন, গণহত্যা থেকে সুরক্ষার আশ্রয়প্রার্থী মানুষদের সহায়তা করা আমাদের যে জাতীয় অঙ্গীকার সরকার সেটা বাতিল করতেই আগ্রহী।'