সৌদি যুবরাজের নেতৃত্ব নিয়ে হতাশা রাজপরিবারে

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
যাযাদি ডেস্ক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) নেতৃত্ব নিয়ে সৌদি আরবের রাজপরিবারের অনেক সদস্য ও অভিজাত ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে দেশটির তেলশিল্পের প্রাণকেন্দ্রে গত মাসের নজিরবিহীন হামলার পর সৌদির প্রতিরক্ষায় যুবরাজের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। রাজপরিবার ও অভিজাত ব্যবসায়ী মহলের ঘনিষ্ঠ পাঁচটি সূত্র এবং জ্যেষ্ঠ বিদেশি কূটনীতিকরা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা জানিয়েছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক পরিবার আল-সোউদের প্রভাবশালী শাখাগুলোতেও যুবরাজকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বর্তমানে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাবান এই পরিবারটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। অভিজাত মহলের যে চক্রগুলো যুবরাজ ক্ষমতার রাশ খুব শক্ত হাতে ধরার চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন, তেলশিল্পে হামলার পর যুবরাজকে নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে যুবরাজ সালমানের তুলনামূলক কঠোর অবস্থানের সমর্থক অনেকেই তেলশিল্পে ওই আঘাতের পর সৌদি বাদশাহর 'প্রিয়পুত্রের' সমালোচনায় মেতেছেন। রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট সৌদি অভিজাতদের একজন বলেছেন, 'ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কীভাবে তারা আক্রমণ শনাক্তে ব্যর্থ হলো?' তিনি জানিয়েছেন, অভিজাত মহলের অনেকেই যুবরাজের ওপর 'আস্থা নেই'। বিদেশি কূটনীতিক এবং রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট অন্য চারটি সূত্রের ভাষ্যেও একই ধরনের সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, ইরানের বিপক্ষে যুদ্ধংদেহী অবস্থান এবং ইয়েমেনে যুদ্ধে জড়ানোর মধ্য দিয়েই এমবিএস সৌদি আরবকে হামলার মুখে ফেলেছেন। নিজের ক্ষমতা সুসংহত করতে অভিজ্ঞদের সরিয়ে নিজের অনুগত তুলনামূলক অনভিজ্ঞদের বসানোর কারণেও এ ধরনের বিপদ সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মত রাজপরিবারের অনেক সদস্যের। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা বসানো হয়েছে, তার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ইয়েমেনের যুদ্ধ এবং গত বছর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসু্যলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী যুবরাজের একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি দাঁড়ানোর পরও দেশে তার কট্টর সমর্থকের সংখ্যা কম নয় বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।