বিক্ষোভ দমনে মুখোশ নিষিদ্ধ করছে হংকং সরকার

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক লাগাতার সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জের ধরে জনসমাবেশে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে চীন সমর্থিত ক্যারি লামের হংকং সরকার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। 'এক দেশ, দুই নীতি'র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে তারা। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে, যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে একপর্যায়ে ওই বিলকে 'মৃত' বলে ঘোষণা করেন হংকংয়ের চীনপন্থি শাসক ক্যারি লাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতা, বৃহত্তর গণতন্ত্র ও চীনের নিযুক্ত নির্বাহী প্রধানের পদত্যাগের দাবি। গণমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, কর্মকর্তারা ঔপনিবেশিক আমলের একটি জরুরি আইন প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনের জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। গত ৫০ বছরে এই আইন কখনো প্রয়োগ করা হয়নি। সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন ও ভিন্নমতাবলম্বীরা বিপদে পড়তে পারে। হংকংয়ে চলমান এই বিক্ষোভ শুরু হয় জুন মাসে। অপরাধীদের মূল চীন ভূখন্ডে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত এই খসড়া আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আজ (শুক্রবার) মুখোশ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া হতে পারে। এই আইন প্রয়োগের ফলে হংকংয়ের নেতা ক্যারি ল্যাম 'জনগণের স্বার্থে' যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। উলেস্নখ্য, সর্বশেষ ১৯৬৭ সালে সহিংসতা দমনে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল।