ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ব্রেক্সিট চুক্তি

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক
ব্রেক্সিট চুক্তি বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক। তবে তারা এই প্রস্তাব খোলা মনেই যাচাই করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও যেসব সুবিধা যুক্তরাজ্য নিতে চায়, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড টুস্কসহ ওই অঞ্চলের আরও বেশ কিছু নেতা। সংবাদসূত্র : বিবিসি বরিস জনসনের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ব্রেক্সিটের পরও উত্তর আয়ারল্যান্ড খাদ্য, শিল্পজাত পণ্য ও পশু সম্পদের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার ব্যবস্থার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের অন্য অংশের মতোই তারা শুল্ক ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবে। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমানার কী হবে, সেটি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব হলো, উত্তর আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ থাকতে চায় কিনা সে ব্যাপারে সেখানকার এমপিদের, প্রতি চার বছর পরপর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকবে। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার নতুন প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তিনি বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তাতে ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বরিস জনসন বলেছেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নতুন সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই ইইউ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বিমত ঘোচাতে তিনি সত্যিকার অর্থেই চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস এই তারিখের আগেই ইইউ ছেড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করলেও যুক্তরাজ্যের এমপিরা পার্লামেন্টে এমন আইন পাস করে ফেলতে পারেন, যার ফলে তাকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে দেরি করাতে পারেন। যদি না তার আগেই তিনি সফল একটি চুক্তি করতে পারেন। যুক্তরাজ্য সরকার বলছে তারা ১৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এরই মধ্যেই বরিস জনসনের পরিকল্পনায় সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমানার বিষয়টি সমাধান করতে না পারা। তারা ইইউ একক ব্যাজার ব্যবস্থার জন্যও হুমকি দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, তিনি আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।