পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে ইরাক

রণক্ষেত্র, নিহত ১৮ পাঁচ দিনে নিহত শতাধিক, সহিংসতা থামানোর আহ্বান জাতিসংঘ ও আরব লিগের

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আহত এক বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে
যাযাদি ডেস্ক ইরাকের রাজধানী বাগদাদে শনিবারও পুলিশের সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এদিন সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ১৮ জন নিহত হয়েছেন। চাকরি সংকট, নিম্নমানের পরিষেবা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বাগদাদ ও অন্যান্য শহরে চলমান এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তির মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স কর্তৃপক্ষ কারফিউ তুলে নেয়ায় এবং বাগদাদের কেন্দ্রস্থলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় শুক্রবার বিক্ষোভের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকলেও শনিবার ফের ভয়াবহ সহিংসতার সাক্ষী হয় ইরাকের রাজধানী। এদিন বাগদাদের বিভিন্ন জায়গায় কয়েক হাজার পুলিশও মোতায়েন করা হয়। শুক্র ও শনিবার বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের স্নাইপাররা গুলিও চালায়। পাঁচ দিনের এই বিক্ষোভে আহতের সংখ্যা এর মধ্যেই তিন হাজার পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইরাকের আধা সরকারি মানবাধিকার হাইকমিশন। বিক্ষোভ-সহিংসতায় ৯৪ জন নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা। সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভে এরই মধ্যে বিরোধী অনেক দলই সমর্থন দিয়েছে। প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর তার অনুসারী এমপিদের পার্লামেন্টের সকল কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের কাছে আগাম নির্বাচনও দাবি করেছেন তিনি। সহিংসতা থামানোর আহ্বানজাতিসংঘ-আরব লিগের এদিকে, ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে মৃতু্যর ঘটনাকে 'বাছবিচারহীন প্রাণহানি' হিসেবে আখ্যায়িত করে এসব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবার সংস্থাটির ইরাকবিষয়ক মিশনের প্রধান জেনাইন হেনিস-পস্নাসচেয়ার্ট এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'পাঁচদিনে ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।' অন্যদিকে, সরকারবিরোধী আন্দোলন নিরসনে দেশটির সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আরব লিগ। সংলাপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভের কারণ ও সমাধানের ব্যাপারেও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।