নতুন সাত গ্রহে পানির সন্ধান হতে পারে মানববসতি

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দিনে দিনে পৃথিবী হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর-বিপজ্জনক। পদাথর্ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মৃত্যুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পৃথিবীর মানুষদের বিকল্প বসবাসের চিন্তা করতে হবে। তাই থেমে নেই নাসাও। সংস্থাটি গত বছর ‘কেপলার-৯০ আই’ নামে একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। একেবারেই তা পৃথিবীর মতো। পৃথিবীর মতোই ‘কেপলার-৯০’ নামে সৌরমÐল রয়েছে। সম্প্রতি জানিয়েছে আরও একটি আশা জাগানিয়া সংবাদ। ‘ট্রাপিস্ট-১’ নামে একটি লাল বামন নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছে। এই নক্ষত্র পরিবারের সদস্য সাতটি। আমাদের ছায়াপথে বামন নক্ষত্রের কক্ষপথে গ্রহ সাতটি ঘুরছে। এ বিষয়ে দুটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেচার অ্যাসট্রোনমি, অ্যাসট্রোনমি ও অ্যাসট্রোফিজিক্স জানাের্ল। গবেষণা নিবন্ধের সহ-লেখক ও বামির্ংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামারি টরিউড বলেন, এই গ্রহগুলো পাথুরে। সেখানে জলাধার থাকায় তা বসবাসের উপযোগী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখন পযর্ন্ত গ্রহগুলোর পৃষ্ঠদেশ ও বায়ুমÐল সম্পকের্ খঁুটিনাটি বিষয় জানা যায়নি। তবুও সেখানে পোতাশ্রয় থাকা, এমনকি মৌলিক প্রাণের বিষটিকেও উড়িয়ে দেয়ার জো নেই। এখন পযর্ন্ত সেখানে বসবাস উপযোগিতা না থাকার মতো কোনো সূত্র বিজ্ঞানীরা খঁুজে পাননি। গবেষকদল ট্রাপিস্ট-১ সিস্টেমের কেন্দ্রে থাকা এই বামন তারা নিয়ে দীঘির্দন গবেষণা করছিলেন। তবে এবার তারা সফল হয়েছেন। তারা এই বামন নক্ষত্রের গ্রহগুলোর আকার, ভর ও এর বায়ুমÐলের গঠন সম্পকের্ গুরুত্বপূণর্ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। জানিয়েছেন, সাতটি গ্রহের প্রায় প্রত্যেকটি পাথুরে। পানিতে এদের ভর পঁাচ শতাংশ পযর্ন্ত। যদিও এটা গ্যাস বা বরফের গঠন হতে পারে। তবে পৃথিবীতে আমাদের গ্রহের ভরের দশমিক ০২ শতাংশ হলো মহাসমুদ্রের ভর। উল্লেখ্য, গত বছর বিজ্ঞানীরা এই ট্রাপিস্ট-১ কে কেন্দ্র করে ঘোরা সাতটি গ্রহের সন্ধান দিয়েছিলেন। এই বামন গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৩৯ আলোকবষর্ দূরে। এই লাল বামন লক্ষত্রের গ্রহগুলো অতি মাত্রায় শীতল প্রকৃতির। গ্রহগুলোর এই অবস্থায় যদিও মানুষ বসবাস করতে পারে না। কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য বেশ আশা জাগানিয়া। এবং এর অবস্থানও বেশ চমকপ্রদ। একদম আমাদের সৌরমÐলের ধার ঘেঁষা। তরলের উপস্থিতি যেকোনো স্থানে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষার মৌলিক বৈশিষ্ট্য। যা এখানে রয়েছে। সংবাদসূত্র : সিজিটিএন