সন্ত্রাস দমন

পাকিস্তান আবারও থাকতে পারে ধূসর তালিকায়

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
যাযাদি ডেস্ক সন্ত্রাস দমনে তো বটেই, বারবার হুঁশিয়ারির পরও জাতিসংঘের চিহ্নিত আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের ওপর নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থা 'ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স' বা এফএটিএফ। এফএটিএফ-এর ৪০টি নির্দেশিকার মধ্যে ৯টির ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ইমরান খানের সরকার। ফলে আগামী বৈঠকেও ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানের বেরনোর সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, পিটিআই জইশ-ই-মোহাম্মদ, জামাত-উদ-দাওয়া, লস্কর-ই-তৈয়বার মতো জঙ্গি সংগঠন বা হাফিজ সাইদের মতো জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পাকিস্তান কোনো দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বরং ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাসীদের মদদ ও প্রশ্রয় দেয়া এবং অর্থ জোগানোর অভিযোগ। সেই কারণেই গত বছরের জুনে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। সময়সীমা দেওয়া হয় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত। ওই সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়, আন্তর্জাতিক নির্দেশনা মেনে ব্যবস্থা না নিলে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখা হবে কি না, তা নিয়ে আগামী সপ্তাহে এফএটিফ বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে শনিবারই প্রকাশিত হয়েছে এফএটিএফের রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে, মাত্র ৯টি নির্দেশিকা বা অভিযোগের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ইসলামবাদ। ২৬টির ক্ষেত্রে অল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বাকি চারটিতে কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। মাত্র একটির ক্ষেত্রে নির্দেশনা মেনে পুরোপুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে অক্টোবরের ১৩ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত এফএটিএফ-এর 'পেস্ননারি সেশনে' পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখার সম্ভাবনা প্রবল। এফএটিএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর ধারায় তালিকাভুক্ত বিশেষ করে লস্কর-ই-তৈয়বা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের মতো সংগঠন বা দল নেতার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। পাকিস্তানের উচিত সন্ত্রাসে অর্থ জোগান বা আর্থিক সংস্থান কীভাবে হয়, তা উপযুক্তভাবে চিহ্নিত ও পর্যালোচনা করা।