ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত শিগগিরই :ম্যাখোঁ

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ
যাযাদি ডেস্ক ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো চুক্তি হওয়া সম্ভব কিনা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলনীতি মেনে সমঝোতায় পৌঁছাতে সামনের দিনগুলোতে উভয় পক্ষেরই ব্রেক্সিট আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি কয়েকদিন আগে ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন প্রস্তাব হাজির করা বরিস জনসন বলেছেন, ৩১ অক্টোবরের পরও ব্রেক্সিট হতে পারে, এমন 'টোপ' নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাবা উচিত হবে না। যদিও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটবিষয়ক কোনো চুক্তিতে একমত হতে না পারলে জনসনকেই ব্রেক্সিট কার্যকরের মেয়াদ বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারস্থ হতে হবে। চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মধ্যে টেলিফোনে এ কথোপকথন হয় বলে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এলিসি প্রাসাদের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ম্যাখোঁকে জনসন বলেন, সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ব্রেক্সিট নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের মতো ছাড় দিতে হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে মিচেল বার্নিয়েরের দলের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের আলোচনা অব্যাহত রাখা উচিত; ওই আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলনীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে কোনো চুক্তি হওয়া সম্ভব কিনা, আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাও বেরিয়ে আসতে পারে।' ফ্রান্সের রাজনীতিবিদ বার্নিয়ের ২০১৬ সাল থেকেই ব্রেক্সিট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি মাসের ১৭ ও ১৮ তারিখে ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ বৈঠকের মধ্যেই ব্রেক্সিট নিয়ে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে উভয়পক্ষের মধ্যস্থতাকারীদের অনেকগুলো বিষয়ে একমত হতে হবে। সোমবার ইউরোপ বিষয়ক উপদেষ্টা ডেভিড ফ্রস্ট ইউরোপীয় কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসার কথা বরিসের, একইদিন ব্রাসেলসে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলেও।