মোদি-শি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে কাশ্মীর নিয়ে

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শি জিনপিং -ফাইল ছবি
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এক ঘরোয়া বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীর ইসু্যতে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে শুক্রবার চেন্নাইয়ের মামালস্নাপুরামে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সীমান্ত ইসু্য প্রাধান্য পাবে। তবে এ আলোচনায় কাশ্মীর ইসু্য উত্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, সিনহুয়া কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে গত বছর সীমান্ত বিরোধের জেরে অচলাবস্থা সৃষ্টির পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চীনের ইউহান শহরে প্রথম ঘরোয়া বৈঠক করেন এই দুই শীর্ষ নেতা। এবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে ১১-১২ অক্টোবর বৈঠক করবেন তারা। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেখানকার শত শত নেতাকর্মীকে। সেখানে উন্নয়নের জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এটা দেশটির 'সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়' ভারতের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও পাকিস্তান বলছে, সেখানে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। দিলিস্নর ওই পদক্ষেপের পর এর প্রতিবাদে জাতিসংঘে বৈঠকের আবেদন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এতে কাজ না হওয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি চিঠি দেন নিরাপত্তা পরিষদে। পরে চীন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের জন্য আহ্বান জানালে তা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। পরে তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানায়।