বরিসের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সমালোচনায় ইইউ

পার্লামেন্টের বিশেষ জরুরি অধিবেশন ডাকা হচ্ছে

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তাদের অভিযোগ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আইরিশ সীমান্ত সংকট সমাধানে অপরীক্ষিত তথ্য নিয়ে এই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। সংবাদসূত্র : ডেইলি মেইল ব্রেক্সিট ইসু্যতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে হাঁটারও ঘোষণা দেন তিনি। এরপর ব্রেক্সিট নিয়ে দোষারোপের খেলা থামাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক টুইটে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক বলেন, 'বরিস জনসন; দোষারোপের খেলায় কেউই বিজয়ী হতে পারে না।' প্রধান মধ্যস্থতাকারী মাইকেল বার্নিয়ার বলেন, 'আজ হোক কিংবা কাল, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি সমাধান বের করতে হবেই।' ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ্যা ক্লদ জাঙ্কার বলেন, 'সামনের দিনগুলোতে চুক্তিকে বাদ দিতে চাচ্ছেন না তিনি। যদিও খুব বেশি উন্নতি হয়নি।' তবে বরিস জনসন বলেন, 'তিনি এখনো চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী।' বৃহস্পতিবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভার্দেকারের সঙ্গে দেখা করে অচলাবস্থা কাটানোর ব্যাপারে কথা বলবেন তিনি। এদিকে, ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে পার্লামেন্টে বিশেষ জরুরি অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। 'স্যাটারডে সিটিং' নামে পরিচিত বিশেষ এই অধিবেশনে আগামী ১৯ অক্টোবর ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। ১৯৩৯ সালের পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আহ্বান করা হচ্ছে বিশেষ এই অধিবেশন। ৩১ অক্টোবরের ব্রেক্সিট চূড়ান্ত করতে ইইউয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক সম্মেলনের পর শনিবারের ওই বিশেষ অধিবেশনে বসবেন আইনপ্রণেতারা। ওই অধিবেশনে ইইউ সম্মেলনে কোনো চুক্তি চূড়ান্ত হলে আইনপ্রণেতাদের তা অনুমোদনের আহ্বান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর চুক্তি না হলে বেশ কিছু বিকল্প উপস্থাপন করা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বিকল্পের মধ্যে রয়েছে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বা পুরো ব্রেক্সিটই স্থগিত করে দেয়া। উলেস্নখ্য, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের অধিবেশন সাধারণত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে। কখনো কখনো শুক্রবারেও অধিবেশন চলে। তবে এই দিনটি সাধারণত আইনপ্রণেতারা নিজেদের সংসদীয় এলাকায় নানা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পরিপ্র্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো ১৯৩৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্যাটারডে সিটিং-এ বসে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্স। ১৯৪৯ সালের ৩০ জুলাই বসে গ্রীষ্মকালীন স্থগিত বিতর্ক ইসু্যতে। ১৯৫৬ সালের ৩ নভেম্বর বসে সুয়েজ খাল সংকট ইসু্যতে। আর সর্বশেষ ১৯৮২ সালের ৩ এপ্রিল ফকল্যান্ড দ্বীপে আগ্রাসন ইসু্যতে।