পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হলো কাশ্মীরের দরজা

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মীরের ডাল লেক
যাযাদি ডেস্ক ভারতের সংবিধানে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দুই মাস পর উপত্যকাটি ভ্রমণে পর্যটকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভর্নর সত্যপাল মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীরের দরজা খুলে গেছে বলে জানানো হয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য অধিদপ্তর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, গভর্নর সত্যপাল মালিক কাশ্মীরের নিরাপত্তার বিষয়ে পরামর্শদাতা এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়া নির্দেশিকায় বলেছেন, রাজ্য থেকে পর্যটক বেরিয়ে যেতে বলার নির্দেশ তুলে নেয়া হয়েছে ১০ অক্টোবর থেকে। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় আগস্টের শুরুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সতর্কতা জারি করলে হাজার হাজার পর্যটক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও তীর্থযাত্রী এলাকাটি ছেড়ে যান। সে সময় উপত্যকাটিতে ২০-২৫ হাজার পর্যটক ছিলেন বলে ভারতের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছিলেন। কেবল ৩ আগস্টই কাশ্মীর থেকে ফিরে যান ছয় হাজারের বেশি পর্যটক; সহিংসতার আশঙ্কায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকে গৃহবন্দি করার পাশাপাশি পাঠানো হয় বাড়তি সেনা। অথচ গত জুনে কাশ্মীরে প্রায় এক লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। এ ছাড়া জুলাইয়ে ভ্রমণ করেছেন এক লাখ ৫২ হাজার পর্যটক, যার মধ্যে তিন হাজার ৪০৩ জন বিদেশি। কিন্তু গত আগস্টে কোনো পর্যটকই সেখানে ঘুরতে যেতে পারেননি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরকার কাশ্মীরের ওপর থেকে বেশকিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিলেও বেশিরভাগ এলাকার ইন্টারনেট ও টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো সচল হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকদের জন্য দ্বার খুললেও ব্যাপক সেনা অধু্যষিত অঞ্চলটি আগের মতো পর্যটক পাবে কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা অনেকের। কর্তৃপক্ষ অবশ্য পর্যটকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার সংবিধানে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়। অবরুদ্ধ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ওপর আরোপ করা হয় নানান বিধিনিষেধ। সেই থেকে ভূস্বর্গখ্যাত উপত্যকাটি ছিল পর্যটকশূন্য। কাশ্মীরের অর্থনীতিতে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।