সৌদিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন অনুমোদন

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক সৌদি আরবে অতিরিক্ত মার্কিন সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। শনিবার এক প্রতিবেদনে সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা 'এসপিএ' এ খবর দিয়েছে। গত মাসে সৌদির তেল স্থাপনায় বড় ধরনের এক হামলার ঘটনার পর আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আরব উপদ্বীপের রাষ্ট্রটিতে প্রায় তিন হাজার সেনা ও আনুসাঙ্গিক সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের ঘোষণা দেয় ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সৌদির দুটি তেল ক্ষেত্রে চালানো ওই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করলেও এর জন্য ইরানকে দায়ী করে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন। তেহরান অভিযোগ অস্বীকার করলেও হামলার জেরে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবে অতিরিক্ত সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরব এই সেনা মোতায়েনের ব্যয় পরিশোধে সম্মত হয়েছে বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স অর্থাভাবে জাতিসংঘে লিফট-এসি বন্ধ যাযাদি ডেস্ক বিদু্যৎ খরচ কমাতে এবার এসক্যালেটর, এয়ার কুলার ও ওয়াটার কুলার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বিমান ভ্রমণেও আনা হচ্ছে কড়াকড়ি। জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র ক্যাথরিন পোলার্ড এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন খাতে খরচ কমিয়ে ৩৭ হাজার কর্মীকে নিয়মিত বেতন পরিশোধের জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো ঠিকমতো দেনা পরিশোধ না করলে নভেম্বর মাস থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না বলে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, 'চলতি মাসে আমরা চরম অর্থ সংকটে পড়ব। তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে, তা দিয়ে নভেম্বরে বেতন দেওয়া যাবে না।' সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস বছরে ১১ সেন্টিমিটার দেবে যাচ্ছে বেইজিং যাযাদি ডেস্ক চীনের রাজধানী বেইজিং প্রতি বছর ১১ সেন্টিমিটার করে দেবে যাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এর মূল কারণ, সেখানকার মাটির নিচে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) চিত্র ও জিপিএসের মাধ্যমে যে রিপোর্ট হাতে এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, দুই কোটি জনসংখ্যার বেইজিংয়ের এই 'পাতাল প্রবেশ' ঘটছে প্রতিনিয়ত। গত ২০০৩ থেকে ২০১০, এই সাত বছরে মাটির নিচে অনেকখানি দেবে গেছে শহরটি। মধ্য বেইজিংয়ের এলাকাগুলোর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। যে জনবসতি এলাকাগুলোতে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে, সেগুলি হলো চাওইয়াং, চাংপিং, শুন্যি, তংঝউ। এই চারের মধ্যেও বিশেষভাবে নজরে পড়ছে চাওইয়াং। পৃথিবীর সবচেয়ে পানি কষ্টে ভোগা অঞ্চলগুলোর মধ্যে বেইজিংয়ের স্থান এখন পঞ্চম। তার কারণ, ভূগর্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ পানি সেখানে তোলা হয়েছে। জনবসতি যত বেড়েছে, ততই অন্য কোনো বিকল্প উৎস না খুঁজে মাটির তলা থেকেই ক্রমাগত পানি তুলেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এভাবে একদিকে যখন হু হু করে নেমেছে পানির স্তর, অন্যদিকে আবাসন ও কলকারখানা বাড়াতে কাটা হয়েছে গাছপালা। ফলে পরিত্যক্ত খনি এলাকায় যেমন ঘটে, ঠিক সেভাবেই চীনের রাজধানী দেবে যেতে শুরু করেছে। সংবাদসূত্র : ইনডিয়া টাইমস বিক্ষোভ :ইকুয়েডরের রাজধানীতে কারফিউ যাযাদি ডেস্ক রাজধানী কুইটো থেকে সরকারি কার্যক্রম সরিয়ে নেয়ার পর সেখানে এবার কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। তেলের মূল্যের ভর্তুকি বন্ধের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভের দশম দিনে রাজধানীতে সেনা মোতায়েনও করা হয়েছে। শনিবার এক টুইটার পোস্টে লেনিন মোরেনো দাবি করেন, রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতা অসহনীয় মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো তেলের দামে সরকারি ভর্তুকি বাতিলের ঘোষণা দিলে ধর্মঘটের ডাক দেয় ইকুয়েডরের ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন। পরে ওই ধর্মঘট বাতিল হলেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছে আদিবাসীরা। এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এতে অন্তত পাঁচ জনের মৃতু্য হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই মাসের জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। সংবাদসূত্র : রয়টার্স