পরকীয়ায় আসক্ত? দোষ দিন হরমোনকে

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাধা-কৃষ্ণের প্রেম নিয়ে মানুষ যতই ফ্যান্টাসাইজ করুক না কেন, বাস্তবজীবনে কিন্তু পরকীয়া নিয়ে সমালোচনার সীমা নেই। অধিকাংশের নজরেই বিষয়টি বেশ খারাপ। তাও যুগ যুগ ধরেই পরকীয়া বহাল তবিয়তেই টিকে আছে। আচ্ছা, জানেন কি সামাজিক ‘সম্মান’, ‘নৈতিকতা’ প্রশ্নগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকার পরও রীতিমতো ঝুঁকি নিয়েই কেন কেউ নিজের পাটর্নারকে ছেড়ে অন্য কারও দিকে ঝুঁকে পড়ে? সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলালেও কেন একই রকম রয়ে গেছে চোরাগোপ্তা পরকীয়ার প্রবণতা? সাদা বাংলায় সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ঠকানোর পেছনে আসল কারণটা ঠিক কী? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমাদের শরীরের অন্যতম দুটি হরমোন এই চিটিং করার জন্য দায়ী। আর হরমোন দুটি হলো, ডোপামিন এবং ভ্যাসোপ্রেসিন। আমেরিকার ‘ম্যারিটাল অ্যান্ড ফ্যামিলি থেরাপি’ নামে একটি জানার্ল কিছু দিন আগে একটি জরিপ চালিয়েছিল। ওই জরিপে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৪ শতাংশ আমেরিকান নারী জানিয়েছেন, জীবনে অন্তত একবার হলেও পাটর্নারকে ঠকিয়ে অন্য কারও শয্যাসঙ্গী বা সঙ্গিনী হয়েছেন। মনোবিদরা ব্যভিচারের কারণ হিসেবে বহু মানসিক ও পারিপাশ্বির্ক কারণকে দায়ী করলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু অন্য কারণও দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন, ডোপামিন হরমোনের জন্য মোট ২০০ রকমের রিসেপটার জিন আছে। ডোপামিন মস্তিষ্কে যৌন তৃপ্তি তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যাদের শরীরে ডোপামিন রিসেপটর জিনের অ্যালিলের সংখ্যা যত বেশি, তাদের মধ্যে ব্যভিচারের প্রবণতাও ততই বেশি। চিটিংয়ের পেছনেও অন্যতম কারণ শরীরে ভ্যাসোপ্রেসিন নামের হরমোনের অতিরিক্ত উপস্থিতি। মূলত যৌন মিলনের সময় নিগর্ত হয় এই হরমোন। আর ব্যভিচারীদের শরীরে এই হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে যে জিন, তার সংখ্যা অত্যন্ত কম। তাহলে এবার কাকে দোষ দেবেন? সংবাদসূত্র : ডেইলি মেইল