বেক্সিট চুক্তি

পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে মরিয়া বরিস জনসন

অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
নিজের ব্রেক্সিট চুক্তিতে পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনুমোদন পেতে মরিয়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এমপিদের আশ্বস্ত করে নিজের পক্ষে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। দীর্ঘ টানাপোড়েন আর অনিশ্চয়তার পর ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকের আগে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছান। সংবাদসূত্র : বিবিসি প্রক্রিয়া মাফিক ৩১ অক্টোবরে ব্রেক্সিট শেষ করার পথ সুগম করতে আজ (শনিবার) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে বরিসের চুক্তিতে অনুমোদন নিয়ে ভোট আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার চুক্তিতে এমপিদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে 'বেশ আত্মবিশ্বাসী'। যদিও গত জুলাইয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে 'চুক্তিহীন বেক্সিট' করার কথাই জোর দিয়ে বলেছেন। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে তা উভয় পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাই বরিসের ওই পথে হাঁটা আটকাতে ব্রিটিশ এমপিরা নতুন একটি আইন পাস করেছেন। এখন এমপিদের অনুমোদন আদায় ছাড়া জনসন ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারবেন না। ইইউ নেতারাও বিষয়টি আর ঝুলিয়ে না রেখে ব্রেক্সিট শেষ করতে চান। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ্য ক্লদ জাঙ্কার এক চিঠিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য রাষ্ট্রকে চুক্তিতে অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ করবেন বলে জানিয়েছেন। কারণ তিনি মনে করেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার শেষ সময় এখনই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি সমর্থন করবে না। ডিইউপির প্রভাবশালী এমপিরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন। কিন্তু বরিসের চুক্তির পক্ষে তারা ভোট দেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। নর্দার্ন আইরিশ পার্টি- যে দলটির কাছ থেকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভোটে সমর্থন পাওয়ার ভরসায় আছে, তারাও এক বিবৃতিতে বলেছে, 'নতুন চুক্তিতে দেয়া প্রস্তাবগুলো আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য সহায়ক নয় এবং এতে ইউনিয়নের অখন্ডতা ক্ষুণ্ন হবে।' যার অর্থ- চুক্তিতে অনুমোদন পেতে বরিসকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে। প্রত্যাশিতভাবেই বরিস ভোট না দেওয়া লেবার এমপি, তার দলের ব্রেক্সিটের পক্ষে দৃঢ় সমর্থক এবং বিদ্রোহী বলে যাদের তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেছেন, তাদের সমর্থন পেতে বেশি চেষ্টা করবেন। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হলে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে ভোট আয়োজনের সুযোগ একবারই পাবেন বরিস জনসন। যদি আজ এমপিরা তার চুক্তি প্রত্যাহার করেন, তবে নতুন আইন অনুযায়ী, তাকে অবশ্যই ইইউর কাছে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে।অথচ বরিস বারবার বলেছেন, তিনি সময় বাড়ানোর আবেদন করবেন না।