শর্তসাপেক্ষে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ছাড়তে রাজি কুর্দিরা

সিরিয়ায় অভিযানের অধিকার ইসরাইলের আছে :পম্পেও

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তৃর্কি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি স্থাপনা
যাযাদি ডেস্ক সিরীয় কুর্দিদের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত থেকে পিছু হটতে তারা রাজি আছেন, যদি তুরস্ক তাদের সেনা ও বেসামরিকদের দখলকৃত শহর থেকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতার পারিপ্রেক্ষিতে শনিবার এ কথা জানায় কুর্দিরা। সংবাদসূত্র : মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু কুর্দিদের পক্ষ থেকে এই প্রথম প্রকাশ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সরে যেতে সম্মতির কথা জানানো হলো। তারা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। পরে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আঙ্কারা। কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর সিনিয়র কর্মকর্তা রেডুর খলিল বলেন, 'রাস আল-আইন শহর থেকে যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়া হবে, যদি না কোনো কারণে দেরি হয়।' এসডিএফ যোদ্ধাদের বেশিরভাগই কুর্দিদের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)-এর সদস্য। ওয়াইপিজিকে তুরস্ক তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা হিসেবে মনে করে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বৈঠকে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। সমঝোতার পরও তুর্কি সমর্থিত বাহিনী ও কুর্দি যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সমঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমঝোতা অনুসারে, তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত থেকে কুর্দিদের সরে যেতে ১২০ ঘণ্টা সময় দিতে রাজি হয় তুরস্ক। তবে সমঝোতায় কোন্‌ কোন্‌ এলাকা থেকে কুর্দিদের সরে যেতে হবে, তা উলেস্নখ করা হয়নি। এসডিএফ কর্মকর্তা খলিল জানান, 'তাদের বাহিনী সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার ভেতরে সরে যাবে। এরপর তারা রাস আল-আইন ও তাল আবিয়াদ শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেবে। সিরিয়ায় অভিযান চালানোর অধিকার আছে ইসরাইলের : পম্পেও এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, 'সিরিয়ার ভেতরে তৎপরতা চালানো এবং সেখানে যেকোনো ধরনের অভিযানের স্বাধীনতা ইসরাইলের মৌলিক অধিকার।' মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তে গভীরভাবে দৃষ্টি রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।' নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি এবং দেশটিতে ইরানের আচরণ মোকাবেলার বিষয়ে আলোচনা করেন। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ইসরাইল এই ভেবে উদ্বিগ্ন, এতে করে সিরিয়ায় ইরানের অবস্থান শক্তিশালী হবে। পম্পেও বলেন, 'ইরানের জনগণের খেয়াল করা উচিত, গত মার্কিন প্রশাসন ও বর্তমান প্রশাসন পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে। তিনি আরও বলেন, 'তাদের (ইরানিদের) ভাবা দরকার, ইরানের বিরুদ্ধে এ যাবৎকালের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার কারণে আগামী দুই বছরে ইরানের অর্থনীতি ১২ ভাগ কমে যাবে। এটা অনেক বড় পদক্ষেপ।'