হংকংয়ে মসজিদে জলকামান ক্ষমা চাইলেন লাম

মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন প্রধান নির্বাহী

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম
হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ব্যবহৃত জলকামান দিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ একটি মসজিদের প্রবেশপথ ও সিঁড়ি রঙিন পানিতে সয়লাব করে দেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। সোমবার জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে প্রধান নির্বাহী লাম মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স জাপানের সম্রাট নারুহিতোর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার টোকিও গেছেন লাম। এর আগের রাতে গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। রোববার ওই সহিংসতা চলাকালে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের জটলার ওপর রঙিন পানি ছিটিয়ে দেয়। এরই এক পর্যায়ে একটি জলকামান হংকংয়ের প্রধান মসজিদ কাউলুন মসজিদের সামনের গেট ও সিঁড়ি রঙিন পানিতে ভাসিয়ে দেয়। সেখানে তখন সাংবাদিকসহ বেশকিছু লোক জড়ো হয়েছিল। সোমবার মুসুলিস্নরা নামাজ পড়তে আসার সময়ও সামনের রাস্তায় নীল রঙ লেগে ছিল। কাউলুন উপদ্বীপের অন্য এলাকাগুলোতে বিক্ষোভকারীরা দোকানপাটে আগুন দেয় ও রাস্তায় গ্রাফিতি এঁকে রাখে, পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাবশত মসজিদটিতে পানি ছিটানো হয়েছে এবং তারা 'ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রার্থনার সব স্থান সুরক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে'। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের এক মুখপাত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে লাম গায়ে একটি শাল জড়িয়ে মসজিদটিতে যান ও ঘটনার জন্য মুসলমান নেতাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্ষমা প্রার্থনা 'মঞ্জুর' করা হয়েছে এবং মুসলমান সম্প্রদায় হংকংয়ে শান্তিতে বসবাস করার আশা করছে বলে জানিয়েছেন মসজিদটির প্রধান ইমাম মুহাম্মদ আরশাদ। দুই সপ্তাহ তুলনামূলক শান্ত থাকার পর রোববার হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশ সমাবেশকে অবৈধ ঘোষণার পরও তাদের দমানো যায়নি। এতে হংকংয়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনে স্থানীয়দের জোরালো সমর্থনের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা। পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত একটি বহিঃসমর্পণ বিলকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল। ওই বিলে বিচারের জন্য হংকংবাসীদের চীনের মূল ভূখন্ডে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়েছিল। এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হংকংয়ের সমালোচকরা।