যুক্তরাষ্ট্র এখনো পুরনো সংলাপ বলে যাচ্ছে: উত্তর কোরিয়া

জ্জ প্রত্যাশার জবাবে আন্তজাির্তক নিষেধাজ্ঞা ও চাপ উসকে দিচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসন জ্জ ফের দুই কোরিয়ার শীষর্ বৈঠকের প্রস্তুতি

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সদিচ্ছা থাকার পরও উত্তর কোরিয়ার ওপর আন্তজাির্তক নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের আহŸানের তীব্র সমালোচনা করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, ওয়াশিংটন এখনো ‘পুরনো সংলাপ বলে যাচ্ছে’। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সদিচ্ছার অনেক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তবুও পুরনো ধারাই মেনে চলছে ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া বিঘিœত করছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, নিউইয়কর্ টাইমস উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করেছে, একটি পরীক্ষাকেন্দ্রও ধ্বংস করেছে এবং ১৯৫০-৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধে নিহত কিছু মাকির্ন সেনার দেহাবশেষও ফেরত দিয়েছে। এরপরও ওয়াশিংটন ‘আগে নিরস্ত্রীকরণের’ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করছে এবং ‘আমাদের প্রত্যাশার জবাবে আন্তজাির্তক নিষেধাজ্ঞা ও চাপ উসকে দিচ্ছে।’ উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পযর্ন্ত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ পযর্ন্ত সংলাপ সহযোগীর মৌলিক কাঠামোকে অস্বীকার করবে এবং পুরনো সংলাপ অঁাকড়ে ধরে রাখবে, যার কারণে সাবেক সব প্রশাসন ধরে রেখেছিল এবং ব্যথর্ হয়েছে, ততক্ষণ নিরস্ত্রীকরণসহ ডিপিআরকে-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ঘোষণা বাস্তবায়নের আশা কেউ করতে পারে না।’ এ ছাড়া উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করেছে, মাকির্ন প্রশাসন ট্রাম্পের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে। তারা বলেছে, অংশীদারকে অপমান করে কোনো ফল আশা করা, একটা সেদ্ধ ডিম থেকে বাচ্চা জন্মদান দেয়ার চেষ্টা করার মতো বোকামি ছিল। উত্তর কোরিয়ার বাতার্ সংস্থা কেসিএনএতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিংম জং-উনের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো এখনো বাস্তবায়নের আশা রাখে পিয়ংইয়ং। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন গত জুনে সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপের সম্পূণর্ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন। কিন্তু নিরস্ত্রীকরণের জন্য কোনো সময়সীমা নিধার্রণ করা হয়নি এবং কীভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে, সে বিষয়েও কোনো বিস্তারিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। উত্তর কোরিয়া একপক্ষীয় নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেনি। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের এক ফঁাস হওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এখনো পারমাণবিক কমর্সূচি অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্র আন্তজাির্তক মহলের প্রতি আহŸান জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে। ফের শীষর্ বৈঠকের প্রস্তুতি এদিকে, দুই কোরিয়ার শীষর্ নেতারা তৃতীয়বারের মতো বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে দুই দেশের কমর্কতাের্দর মধ্যে আলোচনা চলছে। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রীপযাের্য়র বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গত এপ্রিল এবং মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দুইবার বৈঠকে মিলিত হন। দক্ষিণ কোরিয়ার কমর্কতার্রা সম্প্রতি কিম জং-উনের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিগগিরই এই বৈঠক আয়োজনের আহŸান জানিয়েছিলেন কমর্কতার্রা। বৈঠকে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। পিয়ংইয়ং সফরের জন্য প্রেসিডেন্ট মুনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিম জং উন। মুন সেই আমন্ত্রণপত্র গ্রহণও করেছেন। তবে পিয়ংইয়ংয়েই মুন জায়ে ইন যাবেন কিনা, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। দুই কোরিয়ার মধ্যবতীর্ গ্রাম পানমুনজামেও বৈঠকটি হতে পারে। যদিও তারিখ এখনো নিদির্ষ্ট করা হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের কমর্কতার্ জানান, আগামী সোমবার মন্ত্রীপযাের্য়র বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।