অযোধ্যা নিয়ে মোদি

দিনটি ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
দীর্ঘদিনের জট কেটে গেছে। নতুন করে সব কিছু শুরু হওয়ার অপেক্ষায় অযোধ্যা। আর বহু প্রতীক্ষিত এই সুদিন ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শনিবার অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এভাবেই জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, 'ভারত যে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ, তা আজ ফের প্রমাণিত হলো। গণতন্ত্রের শক্তি দেখল সবাই।' অযোধ্যা মামলার সুপ্রিম কোর্টের রায় শেষ পর্যন্ত ভারতবাসীর জয় বলেই মনে করছেন মোদি। সংবাদসূত্র : এএনআই, এনডিটিভি এদিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আজকের ঐতিহাসিক দিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এতে কারও মনে কোনো বিরূপতা নেই। আর কারও মধ্যে কটূতা থাকলেও, তা আজ ঝেড়ে ফেলার দিন। ভারতবাসী দেখিয়ে দিল, কীভাবে একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা যায়।' তার আরও বার্তা, 'কঠিন থেকে কঠিনতর সমস্যার সমাধান আইনি পথেই হয়, তা বোঝা গেল আজ। এবার থেকে সবাই মিলেমিশে থাকব।' ৯ নভেম্বরের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে মোদি উলেস্নখ করেন বার্লিনে প্রাচীর ধ্বংসের কথা। তিনি বলেন, 'এই দিনেই বার্লিনের প্রাচীর ভেঙে দুই জার্মানি এক হয়ে গিয়েছিল। এদেশে আজকের দিনটি তেমনই গুরুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিক।' অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলা। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর বিষয়টি দিনের পর দিন যেভাবে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে, তাতে অশান্তি তো বেড়েছে। এই সমস্যা কবে মিটবে, তার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছে ভারতবাসী। বিশেষ করে, হিন্দুদের বিশ্বাস আর আবেগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত 'রাম জন্মভূমি' অযোধ্যা নিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর লড়াই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছে আইনি প্রক্রিয়াকে। সেসব দিন পেরিয়ে শনিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা দিয়েই দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটে, যা দ্বিতীয় মোদি সরকারের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত।