অযোধ্যা মামলার রায়

বিকল্প জমি নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৬ নভেম্বর :সুন্নি বোর্ড

ইতিবাচক মানসিকতার মাধ্যমেই নেতিবাচকতাকে দূরে সরানো সম্ভব :সুন্নি নেতা ফারুকি

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে উগ্রবাদী হিন্দুরা
বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের শনিবারের রায়ে ভারতের মুসলমানদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রায় মেনে নেয়ার কথা বললেও এ নিয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে তারা। বিকল্প জায়গায় মসজিদ নির্মাণের জন্য আদালত সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে যে পাঁচ একর জমির প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে আগামী ২৬ নভেম্বর সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ এর আগে রায়ের পর আদালতের বিকল্প জমির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এমপি। তিনি সে সময় বলেছিলেন, 'মুসলমানদের খয়রাতির জমির দরকার নেই।' উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতি জাফর ফারুকি সোমবার বলেন, 'আগামী ২৬ নভেম্বর বোর্ডের সাধারণ সভার বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পাঁচ একর জমি নেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।' তিনি আরও বলেন, 'যদিও ১৩ নভেম্বর ওই বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল, পরে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। জমি নেয়ার বিষয়ে আমি বিভিন্ন মতামত পাচ্ছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, একমাত্র ইতিবাচক মানসিকতার মাধ্যমেই যাবতীয় নেতিবাচক বিষয়কে দূরে সরানো সম্ভব।' এই নেতা বলেন, 'কিছু ব্যক্তি এমন পরামর্শ দিচ্ছেন যে, বাবরি মসজিদের জন্য ওই পাঁচ একর জমি নেয়া উচিত নয়। তবে আমি মনে করি এই ধরনের ভাবনা আসলে নেতিবাচকতাই বাড়াবে।' বাবরি মসজিদ ইসু্য সমাধানের জন্য মধ্যস্থতার পক্ষে ছিলেন উলেস্নখ করে ফারুকি বলেন, মধ্যস্থতা সফল না হলেও আমার মতামত পরিষ্কারভাবে দিয়েছি আমি।' জাফর ফারুকি বলেন, 'আবার কিছু মানুষ এমন পরামর্শও দিচ্ছেন, ওই জমিটি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে গ্রহণ করা উচিত এবং সেখানে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়া উচিত, যেখানে একটি মসজিদও স্থাপন করা হবে।' সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতি বলেন, 'আমরাই সিদ্ধান্ত নেবো, ওই জমি আমরা নেবো কি নেবো না। শেষ পর্যন্ত জমি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা কীভাবে নেয়া হবে এবং এর অবস্থা কী হবে; এই বিষয়গুলোতেও আমরা সেদিনই সিদ্ধান্ত নেবো।' তিনি বলেন, 'আমরা এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। বোর্ডের তরফ থেকে অন্তত এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। বোর্ড গত মাসেই জাতীয় স্বার্থের কথা মনে রেখে কিছু শর্তের বিনিময়ে ওই বিতর্কিত জমি থেকে নিজেদের দাবি প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল।' অযোধ্যায় মুঘল আমলে তৈরি বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলার পর ভারতে মুসলমানবিরোধী দাঙ্গায় কমবেশি দুই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। মসজিদটির জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি গুঁড়িয়ে দেয় কট্টরপন্থি হিন্দুরা। তাদের দাবি, বাবরি মসজিদের জায়গাতেই ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল।